Site icon Medical Gurukul [ মেডিকেল গুরুকুল ] GOLN

ইমিউন সিস্টেম | বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি

ইমিউন সিস্টেম বা ইমিউনিটি [Immunity] বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আজকের ক্লাসের আলোচনার বিষয় | Immunity and its types, differences are discussed in this class. ইমিউন সিস্টেম [Immune System] বা ইমিউনিটি [Immunity] বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্লাসটি বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি (Basic Anatomy and Physiology) কোর্সের অংশ | বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি (Basic Anatomy and Physiology) কোর্সের প্রায় সকল ক্লাস “গুরুকুল মেডিকেল এডুকেশন (Gurukul Medical Education)” চ্যানেলে রাখা হয়েছে, বাংলাদেশের “স্বাস্থ্য শিক্ষা (Medical Education)” খাতের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য।

 

ইমিউন সিস্টেম

অনাক্রম্যতন্ত্র বা প্রতিরক্ষাতন্ত্র বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইংরেজি: Immune system) হলো বিভিন্ন জৈবিক কাঠামো সহযোগে গঠিত জীবদেহের নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা জীবদেহকে আক্রমণকারী রোগব্যধির বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে। সঠিকভাবে কাজ করতে অনাক্রম্যতন্ত্রকে বহিরাগত ভাইরাস বা পরজীবীর বিভিন্ন এজেন্ট (যাদেরকে রোগ সংক্রামক জীবাণু বা ইংরেজিতে প্যাথোজেন নামে ডাকা হয়) জীবদেহের নিজস্ব পরজীবী থেকে আলাদা করে শনাক্ত করতে হয়।

 

 

অনেক প্রজাতিতেই অনাক্রম্যতন্ত্রকে অন্তঃঅনাক্রম্যতন্ত্র, অর্জিত অনাক্রম্যতন্ত্র বা হরমোনজনিত অনাক্রম্যতন্ত্র ইত্যাদি উপভাগে ভাগ করা হয়। মানুষের ক্ষেত্রে রক্ত-মস্তিষ্ক প্রতিবন্ধক, রক্ত সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড প্রতিবন্ধক এবং এ ধরনের ফ্লুইড-মস্তিষ্ক-প্রতিবন্ধক, কেন্দ্রীয় এবং প্রান্তীয় অনাক্রম্যতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়।

রোগ সংক্রামক জীবাণুগুলি খুব দ্রুত বৃদ্ধি বা বংশবিস্তার লাভ করে অনাক্রম্যতন্ত্রকে ফাঁকি দিতে পারে, আবার অনেক প্রতিরক্ষা উপাদানও একইভাবে উন্নতি করে রোগ সংক্রামক জীবাণুকে শনাক্ত ও প্রশমিত করতে পারে। সাধারণ এককোষী যেমন ব্যাক্টেরিয়াতে ব্যাক্টেরিওফাজের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী এনজাইরূপে অপরিণত অনাক্রম্যতন্ত্র থাকে। আদিকোষীতে অন্য়ান্য় সাধারণ অনাক্রম্যতন্ত্র গড়ে উঠেছে এবং তাদের বর্তমান বংশধরে যেমন উদ্ভিদ ও অন্তঃভার্টিব্রাটাশে এখনও এটি বিদ্যমান।

অনাক্রম্যতন্ত্রের কার্যপ্রণালীর মধ্যে রয়েছে ফ্যাগোসাইটোসিস, ডিফেনসিন্স নামধারী ক্ষুদ্রাণুরোধী পেপটাইডসমূহ এবং কমপ্লিমেন্ট সিস্টেম। মানুষসহ ন্যাথস্টোমাটা অধিশ্ৰেণীয় মেরুদণ্ডী দের নির্দিষ্ট রোগ সংক্রামক জীবাণূগুলির বিরুদ্ধে আরো সুচারুরূপে পদক্ষেপ নেবার মতো অধিক উন্নত অনাক্রম্যতন্ত্র রয়েছে। সহজাত বা অর্জিত অনাক্রম্যতা অনাক্রম্য স্মৃতি তৈরী করে রেখে একবার প্রতিরোধ করা হয়েছে এমন রোগ সংক্রামক জীবাণুর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গড়ে তোলে। টিকা প্রক্রিয়ার ভিত্তিই হল অর্জিত অনাক্রম্যতা।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

অনাক্রম্যতন্ত্রে কোনো সমস্যা হলে স্বয়ং-অনাক্রম্য ব্যধি (অটোইমিউন ডিজিজ), প্রদাহী ক্ষত বা কর্কটরোগ (ক্যান্সার) হতে পারে।^[২] অনাক্রম্যতন্ত্র তুলনামূলক ভাবে দুর্বল থাকলে অনাক্রম্যহীনতা (ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি) এবং তা থেকে প্রাণঘাতী সংক্রমণ হতে পারে। মানুষের ক্ষেত্রে জিনগত রোগের (যেমন গুরুতর যৌগিক অনাক্রম্যহীনতা সিভিয়ার কম্বাইন্ড ইমিউনোডেফিশিয়েন্সি) কারণেও হতে পারে, আবার বাইরে থেকে জীবাণু অর্জন করার কারণেও (যেমন এইচ আই ভি/ এইডস) হতে পারে বা অনাক্রম্যতন্ত্রকে দুর্বল করে এমন ওষুধ ব্যবহারের কারণেও হতে পারে।

অন্যদিকে, অনাক্রম্যতন্ত্র নিজ দেহ কোষকে ঠিকভাবে শনাক্ত না করে তাকে বহিরাগত কোষ মনে করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াকে স্বয়ং-অনাক্রম্যতা (অটোইম্যুনিটি) বলা হয়। এরকম কিছু স্বয়ং-অনাক্রম্য সমস্যা হলো হাশিমোটোস থাইরয়ডিটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস টাইপ-১ এবং সিস্টেমিক লুপাস এরিথেমাটোসাস। ইমিউনোলজি বা অনাক্রম্যবিজ্ঞানে অনাক্রম্যতন্ত্রের বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 

ইমিউন সিস্টেম নিয়ে বিস্তারিত :

 

 

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version