আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Esmo LA ঈসমো এলএ ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Esmo LA ঈসমো এলএ ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
আইসোসরবাইড মনোনাইট্রেট ৫০ মি.গ্ৰা. ক্যাপসুল।
নির্দেশনা :
করোনারী ধমনীর রক্ত প্রবাহ ব্যাধির দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায়, এনজাইনা পেকটোরিস- এর দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় ও প্রতিরোধে এবং তীব্র মায়োকার্ডিয়াল অপর্যাপ্ততার চিকিৎসায় নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
১টি ক্যাপসুল দিনে একবার ।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
তীব্র মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন যেখানে ফিলিং প্রেসার কম, একিউট সার্কুলেটরী ফেইলিওর, শক্ ভাস্কুলার কলাপ্স, অতি নিম্ন রক্তচাপ, নাইট্রেটের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, লক্ষণীয় রক্তশূন্যতা, মাথায় আঘাত, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হাইপোটেনশন, হাইপোভোলেমিয়া ইত্যাদি ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
মাথা ব্যথা, নিম্ন রক্তচাপ, সিনকোপ, বমি বমি ভাব, বমি, রক্তিমাভ এবং এলার্জিক ফুলকুঁড়ি ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
বিটা ব্লকার, ক্যালসিয়াম এন্টাগোনিষ্ট, ভ্যাসোডাইলেটরস্, এলকোহল, এসিই ইনহিবিটর, সিলডেনাফিল, নিউরোলেপ্টিকস্ এবং ট্রাইসাইক্লিক এন্টি-ডিপ্রেস্যান্টস্।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার
নির্দেশিত নয় ।
সরবরাহ :
ঈসমো” এল এ : ৩ x ১০টি লং এ্যাকটিং ক্যাপসুল।
ঔষধ এর সংজ্ঞাঃ
ঔষধ বা ওষুধ হলো এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রয়োগে প্রাণিদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয় এবং যা দ্বারা রোগ নাশ হয় বা প্রতিকার হয়, বা পীড়া ও ক্লেশ নিবারণ হয়; ভেষজ দাওয়াই এর অন্তর্ভুক্ত। ঔষধ মূলত দুই প্রকার: থেরাপিউটিক (রোগনিরাময়কারী) এবং প্রোফাইলেকটিক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) সংজ্ঞার্থ অনুসারে: “দ্রব্যসমূহ যা রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে (cure), উপশমে (mitigation), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) ব্যবহার করা হয়” এবং “দ্রব্যসমূহ (খাদ্য বাদে) যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক গঠন বা ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে” তাদের ঔষুধ বলা হয়।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওষুধের সংজ্ঞা এমন কঠোরভাবে আরোপ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে: “ঔষধ” শব্দটির বিভিন্ন রকম ব্যবহার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য (cure) এবং প্রতিরোধের (prevention) ক্ষমতা আছে অথবা যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আবার ফার্মাকোলজিতে ঔষধ এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণিদেহের অথবা কলার জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম। আবার সাধারণের মুখে ড্রাগ শব্দটির অর্থ অবৈধ দ্রব্য। যেমন: হেরোইন, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, ইত্যাদি।
আরও দেখুনঃ