আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Adryl এড্রিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Adryl এড্রিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ডাইফেনহাইড্রামিন হাইড্রোক্লোরাইড ১০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. সিরাপ ।
নির্দেশনা :
নাকে প্রদাহ, নাক-চোখে সর্দি ঝরা, চোখ লাল হয়ে প্রদাহ সৃষ্টি প্রভৃতিতে কার্যকরী। কোন কিছু খাওয়া বা ছোঁয়া লাগায় আর্টিকেরিয়া দেখা দিলে সফলতার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। বমি বমি ভাব, ভ্রমণজনিত পীড়া, ঠান্ডা কাশিতে এটা ব্যবহার করা যায়।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
বয়স্ক ও ১২ বসরের বেশী বয়সের শিশুদের জন্য ২-৩ চা চামচ (১২.৫-২৫ মি.লি.) দিনে ৩-৪ বার। ৬ থেকে ১২ বছর বয়সের শিশুদের জন্য: ১-২ চা চামচ দিনে ৩ থেকে ৪ বার। ১ থেকে ৬ বছর বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে: ১/২-১ চা চামচ দিনে ৩ থেকে ৪ বার।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
গাড়ী ও ভারী মেশিন চালানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ডাইফেনহাইড্রামিন হাইড্রোক্লোরাইড এর প্রতি যাদের অতিমাত্রায় সংবেদনশীলতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়। নবজাতকের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয় ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
কারও কারও ক্ষেত্রে মাথা ঝিমঝিম করা, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভবর্তী মায়েদের ক্ষেত্রে অতীব প্রয়োজনীয়তা থাকলে গ্রহন করা যেতে পারে । স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয় ।
সরবরাহ :
এড্রিল সিরাপ ১০০ মি.লি. ।
ঔষধের ব্যবহার:
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ