আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Anzitor এনজিটর ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Anzitor এনজিটর ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
প্রতিটি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেটে আছে এটোরভাসটেটিন ক্যালসিয়াম আইএনএন যা ১০ = মি.গ্রা., ২০ মি.গ্রা., ৪০ মি.গ্রা. এটোরভাসটেটিন এর সমতুল্য।
নির্দেশনাঃ
এনজিটরও নির্দেশনার আগে রোগীকে কোলেস্টেরল কমানোর খাদ্য তালিকা দিতে হবে। সাধারণ নির্দেশনামাত্রা অনুযায়ী সকল ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা ১০ মি.গ্রা. দিনে একবার। নির্দেশনামাত্রা এলডিএল এর প্রারম্ভিক মাত্রা, লক্ষ্যমাত্রা এবং রোগীর উপর কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করতে হবে । মাত্রা পুনঃনির্ধারণ এর ক্ষেত্রে চার সপ্তাহ বা তার বেশি ব্যবধান রাখতে হবে।
ওষুধ দিনের যে কোন সময় খাবারের সাথে অথবা খাবার সময় ছাড়া সেবন করা যাবে। সর্ব্বোচ্চ মাত্রা হল দৈনিক ৮০ মি.গ্রা.। শিশুদের ক্ষেত্রে: শিশুদের ক্ষেত্রে এটোরভাসটেটিন ৮০ মি.গ্রা./দিন সম্পর্কিত কোন তথ্য নেই। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রেঃ (১৭০ বছর) ৭০ বছরের বেশী বয়স্ক রোগীর দেহে এনজিটর® (৮০ মি.গ্রা./দিন পর্যন্ত) ৭০ বছরের কম বয়স্ক রোগীদের মতই কার্যকর ও নিরাপদ । বৃক্কের অকার্যকারিতা: মাত্রা পুন: নির্ধারনের প্রয়োজন নেই।
প্রতিনির্দেশনা:
এটোরভাসটেটিনের অথবা এর যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা, একটিভ লিভার ডিজিজ অথবা অবিশেষ্য বিদ্যমান সেরাম ট্রান্সএমাইনেজের বৃদ্ধি, গর্ভধারণ, মাতৃদুগ্ধ দানকালে এবং সন্তানধারণে সম বয়সের নারী যারা পর্যাপ্ত জন্মবিরোধীকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি তাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
এটোরভাসটেটিন সাধারণত সহনশীল। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমুহ সাময়িক মৃদু। রিভারসিবল মায়োসাইটিস স্টাটিন সমূহের প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যা বিরল ক্ষেত্রে দেখা যায়। এছাড়াও স্ট্যাটিন সমূহে মাথাব্যথা, পেট ফাপা, ডাইরিয়া, বমিবমিভাব এবং বমি হতে পারে।
থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, র্যাশ এবং অতিসংবেদনশীলতা খুব বিরল ক্ষেত্রে দেখা যায়। এটোরভাসটেটিন থে রাপির অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহের মধ্যে হল- অনিদ্রা, এনজিও এডিমা, ক্ষুধামন্দা, এসথেনিয়া, পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, টাকপড়া, প্রুরিটাস, র্যাশ, ইমপোটেন্স, বুকব্যথা, হাইপোগ্লাইসেমিয়া এবং হাইপারগ্লাইসেমিয়া ।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
এই শ্রেণীর অন্যান্য ওষুধের সাথে সাইকোসপরিন, ফাইব্রিক এসিড ডেরিভেটিভ, এরিথ্রোমাইসিন, এজোল এন্টিফাংগাল এবং নিয়াসিন প্রদান করলে মায়োপাখি হবার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এটোরভাসটেটিনের সাথে উক্ত ওষুধ সমূহ যোগ করলেও একই ধরনের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ বিরোধী অথবা হাইপোগ্ন াইসেমিক ওষুধের সাথে এটোরভাসটেটিন প্রভাব জানা যায়নি। এটোরভাসটেটিনের এর সাথে ডিগক্সিন, এরিথ্রোমাইসিন, ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ, কলেটিপল, এন্টাসিড এবং ওয়ারফারিনের সাথে এটোরভাসটেটিন দেয়া হলে রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সিমেটিডিনের সাথে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
গর্ভধারণ ও মাতৃদুগ্ধদানকালে ব্যবহারঃ
গর্ভধারণ ও মাতৃদুগ্ধদানকালে এটোরভাসটেটিন প্রতিনির্দেশিত। সন্তান ধারণে সক্ষম নারীদেরকে এটোরভাসটেটিন থে রাপি দেবার সময় পর্যাপ্ত জন্মবিরতিকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এটোরভাসটেটিন থেরাপি চলাকালে কেউ গর্ভধারণ করলে এটোরভাসটেটিন থেরাপি বন্ধ করতে হবে।
সরবরাহ:
এনজিটর ১০: প্রতি বাক্সে আছে ৫০ টি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেট।এনজিটর ৩০: প্রতি বাক্সে আছে টি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেট। ৩০ এনজিটর ৪০: প্রতি বাক্সে আছে ৩০ টি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেট।
আরও দেখুনঃ