Site icon Medical Gurukul [ মেডিকেল গুরুকুল ] GOLN

এন্ডোক্রাইন এর ধারণা (পিটুইটারি) | বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি

এন্ডোক্রাইন এর ধারণা (পিটুইটারি) আজকের আলোচনা বিষয় |এন্ডোক্রাইন (পিটুইটারি), Endocrine (Pituitary) বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি (Basic anatomy and physiology)কোর্সের অংশ |বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি (Basic anatomy and physiology) কোর্সের প্রায় সকল ক্লাস “গুরুকুল মেডিকেল এডুকেশন (Gurukul Medical Educaiton)” চ্যানেলে রাখা হয়েছে, বাংলাদেশের “স্বাস্থ্য শিক্ষা (Medical Educaiton)” খাতের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য।

 

এন্ডোক্রাইন এর ধারণা

 

এন্ডোক্রিনোলজি (ইংরেজি: Endocrinology) বা আক্ষরিক অর্থে অন্তঃক্ষরাবিজ্ঞান বা অন্তঃক্ষরাগ্রন্থিবিজ্ঞান হচ্ছে জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি শাখা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র, এর রোগ, এবং হরমোন নামক সুনির্দিষ্ট জৈব যৌগের নিঃসরণ নিয়ে অধ্যয়ন করে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন কার্যপ্রক্রিয়ার সমন্বয়ও বিজ্ঞানের এই শাখার অন্তর্ভুক্ত।

 

 

হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসকল সমন্বয় কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে শরীরের বিভিন্ন বিকাশমূলক প্রক্রিয়ার স্বতঃবিস্তার, দেহের বৃদ্ধি ও বিকাশ, পার্থক্য, বিপাকের শারীরিক বা আচরণগত প্রক্রিয়া, টিস্যুর কর্মপ্রক্রিয়া, ঘুম, পরিপাক, শ্বসন, রেচন, মেজাজ, মানসিক চাপ, স্তন্যদান, নড়াচড়া করার ক্ষমতা, প্রজনন, এবং প্রত্যক্ষণ। এন্ডোক্রাইনোলজির বিশেষায়িত শাখার মধ্যে রয়েছে আচরণগত এন্ডোক্রাইনোলজি এবং তুলনামূলক এন্ডোক্রিনোলজি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পেশাজীবিদের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট বলা হয়।

বিভিন্ন ধরনের গ্রন্থির সমন্বয়ে অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিতন্ত্র গঠিত। শরীরের বিভিন্ন অংশে এই গ্রন্থিগুলো বিস্তৃত। এই গ্রন্থিগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের হরমোন কোনো নালি ছাড়াই সরাসরি রক্ত নিঃসরিত হয়। এজন্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিগুলো নালিবিহীন গ্রন্থি হিসেবে স্বীকৃত। হরমোনের বিভিন্ন রকমের কাজ রয়েছে এবং তাদের কাজের ধরনও ভিন্ন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, একটি নির্দিষ্ট হরমোন শরীরের একাধিক অঙ্গের উপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, অপরদিকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্গ বিভিন্ন ধরনের হরমোন দ্বারা প্রভাবিতও হতে পারে।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

জার্মান বিজ্ঞানি আর্নল্ড আডোলফ বের্টহোল্ডকে এন্ডোক্রিনোলজির জনক বলা হলেও সর্বপ্রথম চীনে এন্ডোক্রিনোলজি নিয়ে কাজ করার প্রমাণ পাওয়া যায়।[৪] খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ শতকের দিকে চীনারা মানুষের মূত্র থেকে যৌন হরমোন ও পিটুইটারি হরমোন আলাদা করতে সমর্থ হয়। এ কাজের জন্য তারা স্টেরয়েড হরমোনের ঊর্দ্ধপাতন করার মতো বিভিন্ন ধরনের জটিল পদ্ধতি প্রয়োগ করেছিলো।

১১০০ খ্রিষ্টাব্দের প্রাচীন চৈনিক লেখনিতে হরমোন আলাদা করার আরেকটি পদ্ধতি প্রয়োগের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ পদ্ধতিতে হরমোন আলাদা করতে গ্লেডিটসিয়া সাইনেনসিয়া নামক ফুলের বিচি থেকে প্রাপ্ত স্যাপোনিন যৌগ ব্যবহার করা হয়েছিলো। এছাড়া জিপসাম (ক্যালসিয়াম সালফেট) ব্যবহারের প্রমাণও পাওয়া যায়।

 

 

এন্ডোক্রাইন সিস্টেম নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version