Epitra এপিট্রা ওষুধের যাবতীয় তথ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Epitra এপিট্রা ওষুধের যাবতীয় তথ্য । বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।

Epitra এপিট্রা ওষুধের যাবতীয় তথ্য

উপাদান:

এপিটার ০.৫ মি.গ্রা. প্রতি ট্যাবলেটে আছে ক্লোনাজিপাম ০.৫ মি.গ্রা. ইউ এস পি । এপিট্রা° ১ মি.গ্রা. : প্রতি ট্যাবলেটে আছে ক্লোনাজিপাম ১ মি.গ্রা. ইউ এস পি । এপিট্রা°২ মি.গ্রা. : প্রতি ট্যাবলেটে আছে ক্লোনাজিপাম ২ মি.গ্রা. ইউ এস পি । এপিট্রাও ওরাল ড্রপস্ প্রতি ৫ মি.লি. ফ্লপে আছে ক্লোনাজিপাম ইউ এস পি ১২.৫ মি.গ্রা.।

 

Epitra এপিট্রা ওষুধের যাবতীয় তথ্য

 

নির্দেশনা:

• মানসিক উদ্বেগ ও আতঙ্কগ্রস্ততা, এগোৱাফোবিয়া অথবা

• মৃগীরোগ বা অন্যান্য খিঁচুনিরোগ

• মায়োক্লোনিক এবং অ্যাকাইনোনেটিক সীজারসমূহ এবং পেটিট ম্যাল ভেরিয়েন্ট (লেনক্স-গ্যাসটউট সিনড্রোম) এর একক বা সংযুক্ত চিকিৎসায় অ্যাবসেন্স স্পেল (পেটিট ম্যাল) সহ রোগী যাদের ক্ষেত্রেসাকসিনামাইড অকার্যকর, তাদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

সেবনবিধি ও মাত্রা :

প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া ও সহনশীলতা অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।

অপ্রাপ্ত বয়স্ক : শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে পারম্ভিক মাত্রা (দশ বৎসর বয়স পর্যন্ত অথবা ৩০ কেজি ওজন পর্যন্ত) ০.০১ এবং ০.০৩ মি.গ্রা./কেজি প্রতিদিন এর মধ্যে হওয়া বাঞ্চনীয় এবং ০.০৫ মি.গ্রা./কেজি প্রতিদিন এর উর্দ্ধে হওয়া বাঞ্চনীয় নয়, যখন দিনে দুই বা তিনটি বিভক্ত মাত্রায় দেয়া হয়।

ওষুধের মাত্রা ০.১ থেকে ০.২ মি.গ্রা. / কেজি না পৌছা পর্যন্ত প্রতি তিন দিন অন্তর ওষুধের মাত্রা ০.২৫ থেকে ০.৫০ মি.গ্রা. এর উর্ধ্বে বাড়ানো উচিত নয়, যদি খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণ না হয় অথবা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আরো বৃদ্ধি পায় । দৈনিক ওষুধ তিনটি সমান বিভক্ত মাত্রায় দেয়া উচিত। যদি ওষুধ তিনটি সমান মাত্রায় বিভক্ত না হয়, তবে বৃহত্তর মাত্রাটি সর্বশেষে দিতে হবে।

প্রাপ্ত বয়স্ক : প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রারম্ভিক মাত্রা দৈনিক ১.৫ মি.গ্রা. এর উর্ধ্বে হওয়া উচিত নয়। যা তিনটি সমান বিভক্ত মাত্রায় দিতে হবে। সিঁচুনি পর্যাপ্তভাবে নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত ওষুধের মাত্রা প্রতি তিন দিন অন্তর ০.৫ থেকে ১ মি.গ্রা. পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। অব্যাহত সাধারণ চিকিৎসার মাত্রা প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী নির্ধারণ করতে হবে।

প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নির্দেশিত অব্যাহত সাধারণ চিকিৎসার মাত্রা ৮ থেকে ১০ মি.গ্রা. প্রতি দিন, তিনটি সমান বিভক্ত মাত্রায়। ২০ মি.গ্রা. প্রতিদিন এর অধিক মাত্রায় সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। একাধিক খিঁচুনিরোধী ওষুধের ব্যবহার হতাশাগ্রস্থতা বৃদ্ধি করতে পারে। পূর্ব হতে চলমান কোন খিঁচুনিরোধী ওষুধের সাথে যখনই ক্লোনাজিপাম যোগ করা হবে তখন এরকম মনে হবে।

 

google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

প্রতি নির্দেশনা:

যকৃতের কোন বিশেষ অসুখ, ন্যারো অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা, বেনজোডায়াজেপিন সমূহের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :

গর্ভকালীন ক্যাটাগরি- ‘সি’।গর্ভাবস্থায় খিঁচুনির ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় খিঁচুনির ওষুধ ব্যবহারে দেখা দিতে পারে। শিশুর ‘জন্মগত ত্রুটি স্তন্যদানকালে যে সব মা ক্লোনাজিপাম গ্রহণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত নয়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:

ক্লোনাজিপামের ক্ষেত্রে সব চাইতে বেশি প্রতীয়মান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াসমূহ কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অবনমনের সাথে সম্পর্কিত। প্রায় ৫০% রোগীর ক্ষেত্রে ঝিমুনিভাব ও ৩০% রোগীর ক্ষেত্রে এটাক্সিয়া হয়ে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে এই প্রতিক্রিয়া সময়ের সাথে কমে যেতে পারে। প্রায় ২৫% ক্ষেত্রে রোগীর আচরণগত সমস্যা পাওয়া গিয়েছিল এবং ৭% রোগীর লালা নিঃসরণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:

ক্লোনাজিপাম এক বা একাধিক খিঁচুনিরোধী ওষুধের সাথে যুগপৎভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি ওষুধের মাত্রা পরিমিত ফলাফল পাবার জন্য নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক। বেনজোডায়াজেপিন ও খিচুনিরোধী ওষুধের সেরাম ঘনত্বের পরিবর্তন সহ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

বেনজোডায়াজেপিন ও খিঁচুনি ওষুধ যুগপৎভাবে ব্যবহৃত হলে ওষুধের পরিবর্তিত প্রতিক্রিয়ার জন্য রোগীকে পর্যবেক্ষণ এবং অন্যান্য = খিঁচুনিরোধী ওষুধসমূহের সেরাম ঘনত্বের মাত্রা নিয়মিত নির্ণয়ের পরামর্শ দেয়া হয়।

 

Epitra এপিট্রা ওষুধের যাবতীয় তথ্য

 

সরবরাহ:

এপিট্রাক ০.৫ মি.গ্রা. প্রতি বাক্সে আছে ১০০টি ট্যাবলেট, বিস্টার প্যাকে।

এপিটা° ১ মি.গ্রা. প্রতি বাক্সে আছে ৬০ টি ট্যাবলেট, বিস্টার প্যাকে।

এপিটা” ২ মি.গ্রা. প্রতি বাক্সে আছে ৬০ টি ট্যাবলেট, বিস্টার প্যাকে।

এপিট্রা ওরাল ড্রপস্ : প্রতিটি এইচডিপিই বোতলে আছে ১০ মি.লি. ওরাল ড্রপস্ ।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment