আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Epinal এপিনাল ওষুধের যাবতীয় তথ্য । বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Epinal এপিনাল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
ফেনোবারবিটাল বিপি। ৩০ মি. গ্রা., ৬০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট, ২০০ মি. গ্রা./মি.লি. ইঞ্জেকশন এবং ২০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. এলিক্সির।
নির্দেশনা:
ফেনোবারবিটাল ব্যবহৃত হয়: স্নায়ুবিক উত্তেজনা প্রশমনকারী হিসেবে, তাই এটা উদ্বেগ, মানসিক চাপ এবং ভয় লাঘব করে। ঘুম আনয়নকারী হিসেবে, তাই নিদ্রাহীনতার স্বল্পমেয়াদী চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। চেতনাশক ওষুধ ব্যবহারের পূর্বে। খিঁচুনীরোধী হিসেবে পার্শ্বিয়াল সিজার সহ মৃগীরোগ, জেনারালাইজড টনিক-ক্লনিক সিজার। স্ট্যাটাস এপিলেপ্টিকাস।
মাত্রা ও ব্যবহারবিধি
নিদ্ৰাহীনতা প্রাপ্তবয়স্ক মুখে/আই এম/আই ভি ১০০-৩২০ মি.গ্রা.। স্নায়বিক প্রশমন প্রাপ্ত বয়স্ক মুখে দৈনিক ৩০-১২০ মি.গ্রা. ২-৩টি বিভক্ত মাত্রায়। মৃগীরোগ প্রাপ্ত বয়স্ক: মুখে দৈনিক ৬০-২৫০ মি.গ্রা.। খিচুনী প্রাপ্ত বয়স্ক: আই ভি ১০০-৩২০ মি.গ্রা.। প্রয়োজনে পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে (সর্বোচ্চ দৈনিক ৬০০ মি.গ্রা.)।
শিশু: আই এম/আই ভি সৈনিক ৪-৬ মি.গ্রা./কেজি, ১০ দিন। পরিবর্তে আইএম/আইভি দৈনিক ১৫ মি.গ্রা./কেজি। সর্বোচ্চ আই ভি-র হার ৬০ মি.গ্রা./ মিনিট । স্ট্যাটাস এপিলেপ্টিকাস প্রাপ্ত বয়স্ক: আই ভি ১০-২০ মি.গ্রা./কেজি । প্রয়োজনে পুনরাবৃত্তি করা যেতে পারে। শিশু: আই ভি ১৫-২০ মি.গ্রা./ কেজি। ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে। অপারেশনের পূর্বে স্নায়বিক প্রশমন শিশু: মুখে/আই এম/আই ভি ১-৩ মি.গ্রা./কেজি।
সতর্কতা ও যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না:
যাৱা বারবিচুরেটের প্রতি অতিসংবেদনশীল এবং যেসব রোগীর তীব্র কিন্তু অনিয়মিত পোরফাইরিয়া আছে তাদের ক্ষেত্রে ফেনোবারবিটাল প্রতিনির্দেশিত। ফেনোবারবিটাল দীর্ঘকাল ব্যাপী ব্যবহার করলে নির্ভরতা তৈরি হতে পারে।
নিদ্রাহীনতার জন্য দেয়া হলে দুই সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। যেসব রোগী মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত, যাদের হেপাটিক সিসটেম তিগ্রস্থ এবং যাদের আত্মহত্যা প্রবণতা বা ওষুধ অপব্যবহারে ইতিহাস আছে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
সবচেয়ে বেশি লক্ষণীয় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে ঘুম ঘুম ভাব। অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্কদের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অবদমন, স্নায়ুদৌর্বল্য, অস্থিরতা, মানসিক অশান্তি, আলস্য, মানসিক চাপ, মাংস পেশীর দুর্বলতা, দুঃস্বপ্ন, হৃদকম্পন কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, বমি, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, বিশ্রামহীনতা, ভ্রান্তি এবং বাচ্চাদের হাইপারকাইনেসিস হতে পারে।
অন্যান্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
এসিটামিনোফেন, জমাটরোধী ওষুধ যেমন- ওয়ারফেরিন, ক্লোরামফেনিকল, মনোএ্যামাইনো অক্সিডেজ ইনহিবিটর, বিষণ্নতারোধী ওষুধ, এ্যাজমা, ঠাণ্ডা বা এ্যালার্জিরোধী ওষুধ, স্নায়বিক উত্তেজনা প্রশমনকারী ওষুধ, স্টেরয়েড্স, নিদ্রা উদ্রেককারী ওষুধ এবং ভিটামিনের সাথে ফেনোবারবিটালের মিথষ্ক্রিয়া হতে পারে। মিথষ্ক্রিয়ার ফলে ফেনোবারবিটালের ঘুম উদ্রেককারী ক্রিয়া বেড়ে যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় এবং দুগ্ধদানকালে ব্যবহার:
গর্ভাবস্থায় ক্যাটাগরী-‘ডি’। ফেনোবারবিটাল গর্ভস্থ ভ্রুণের মারাত্মক তি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র ফেনোবারবিটাল ব্যবহার করলে কিংবা অন্য থিচনীরোধী ওষুধের সাথে একত্রে ব্যবহার করলে নবজাতকের কোয়াগুলেশন সমস্য তৈরি হতে পারে।
সেক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানের পূর্বেই গর্ভধারিনীকে ভিটামিন ‘কে’ দেয়া হলে এ সমস্যা প্রতিরোধ করা যেতে পারে।মাতৃদুগ্ধের মাধ্যমে ফেনোবারবিটাল নিঃসৃত হতে পারে তাই দুগ্ধদানকালীন সময়ে ফেনোবারবিটালের ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সরবরাহ:
এপিনাল’ ৩০: প্রতিটি বাক্সে আছে ১০০টি ট্যাবলেট। এপিনাল” ৬০। প্রতিটি বাক্সে আছে ১০০ টি ট্যাবলেট। এপিনাল’ ইঞ্জেকশন: প্রতিটি বাক্সে আছে ১ মি.লি. এ্যাম্পুল ৫ টি। এপিনাল’ এলিক্সির: প্রতিটি বোতলে আছে ১০০ মি.লি. এলিক্সির।
আরও দেখুনঃ