আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Emcil এমসিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Emcil এমসিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
পিভমেসিলিনাম ২০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
মূত্রথলির তীব্র প্রদাহ, মূত্রনালীর জটিল সংক্রমণ, সালমোনেলা, সিগেলা, ই-কলাই, ডায়রিয়া, গ্রাম-নেগেটিভ সেপটিসিমিয়া এবং পিত্তনালীর সংক্রমণে নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
পূর্ণ বয়স্ক : সংক্রমণের ধরনের উপর ভিত্তি করে সাধারণতঃ ১-২ ট্যাবলেট দিনে ৩ বার সেবন করা যায়। ২০ কেজি ও এর কম ওজনের শিশু : ২০-৬০ মি.গ্রা./কেজি শরীরের ওজন, যা ৩-৪ ভাগে প্রতিদিন নির্দেশিত।
২০ কেজির বেশী ওজনের শিশু : সাধারণ পূর্ণ বয়স্কদের মাত্রা প্রযোজ্য। প্রতিটি ট্যাবলেট কমপক্ষে ৫০-১০০ মি.গ্রা. তরলের সাথে সেবন করা উচিত।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না
পেনিসিলিন বা সেফালোসপোরিন ওষুধে সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার না করাই যুক্তিযুক্ত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
সাধারণত সুসহনীয়। খালি পেটে সেবন করলে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, বদহজম দেখা দিতে পারে। চামড়ায় ফুসকুড়ি কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
প্রত্যাশিত সুফলের মাত্রা সম্ভাব্য ক্ষতির চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশী বিবেচিত হলেই শুধু মাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। পিশুমেসিলিনাম মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় না।
সরবরাহ :
এমসিল” ট্যাবলেট : ৫ × ৬ টি ।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ