আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় SQ Mycetin এসকিউ মাইসেটিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
SQ Mycetin এসকিউ মাইসেটিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ক্লোরামফেনিকল ০.৫% চোখ ও কানের ড্রপস্ ।
নির্দেশনা :
কনজাংটিভা ও কর্ণিয়ায় রোগের সংক্রমণে নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
চোখের সংক্রমণে ২ ফোঁটা করে ১ ঘন্টা পর পর উপসর্গ উপশম না হওয়া পর্যন্ত অথবা রোগের তীব্রতা অনুসারে দিনে ৪ বার দেওয়া যেতে পারে। কানের সংক্রমণে ২-৩ ফোঁটা দিনে ৩-৪ বার দিতে হবে।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
ক্লোরামফেনিকলের প্রতি অতি সংবেদনশীল অথবা এর প্রতি বিষক্রিয়া দেখা নিয়ে থাকলে ব্যবহার করা উচিত নয়। দীর্ঘমেয়াদী চোখে ব্যবহারের ফলে বাড় ডিসক্রেসিয়া (এ্যানিউলো-সাইটোপেনিয়া, প্রোথ্রম্বোসাইটোপেনিয়া এবং রক্তশূন্যতা) হতে পারে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে অস্থিমজ্জার বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। শিশুদের অপটিক এট্রফি, চোখে জ্বালা পোড়া করা, ডারমাটাইটিস, প্রদাহ এবং এনজিওইডিমা দেখা দিতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
একই সাথে কাইমোট্রিপটিন প্রয়োগ করা হলে কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে চিকিৎসকের মতে একমাত্র প্রয়োজনীয় হলেই ব্যবহার করা উচিত।
সরবরাহ :
এসকিউ-মাইসেটিন” চোখ/কানের ড্রপস্ 10 মি.লি.।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ