আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Ansulin Pen Cartridge এ্যানসুলিন পেন কার্ট্রিজ ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Ansulin Pen Cartridge এ্যানসুলিন পেন কার্ট্রিজ ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
এ্যানসুলিন” আর পেন কার্ট্রিজ: প্ৰতি মি.লি. সলিউশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) হিসেবে।
এ্যানসুলিন এন পেন কার্ট্রিজ.: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য)আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন ” ৩০/৭০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৩০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৭০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
এ্যানসুলিন ” ৫০/৫০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতি মি.লি. সাসপেনশনে রয়েছে ইনসুলিন হিউম্যান (আরডিএনএ) ইউএসপি ১০০ আই ইউ (৩.৪৭ মি.গ্রা. সমতুল্য) ৫০% সলিউবল ইনসুলিন হিউম্যান (রেগুলার) এবং ৫০% আইসোফেন ইনসুলিন হিউম্যান হিসেবে।
নির্দেশনা:
টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
ব্যবহার
১. এ্যানসুলিন’ পেন কার্ট্রিজ খাবার গ্রহণের ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পূর্বে সাবকিউটেনিয়াস পথে ব্যবহার করা উচিত। প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ডাক্তারের পরামর্শে ইনসুলিন গ্রহণের সঠিক সময় নির্ধারণ করা উচিত ।
২. ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্টিজটি সঠিক কিনা তা পরীক্ষা করে নিন। প্রয়োগকারী যন্ত্র এ্যানসুপেনাM এর সাহায্যে কার্ট্রিজ ব্যবহার করতে হবে। এজন্য প্রয়োগকারী যন্ত্রের সাথে সরবরাহকৃত পূর্নাঙ্গ নিয়মাবলী অনুসরণ করুন ।
৩.ব্যবহারের পূর্বে করণীয় এ্যানসুপেন”” এর ব্যবহারের নিয়মাবলী অনুযায়ী এ্যানসুলিন” কার্ট্রিজটি সঠিকভাবে পেনে প্রবেশ করিয়ে নিলটি সংযুক্ত করুন। এ্যানসুলিন এন পেন কার্ট্রিজ এন অথবা এ্যানসুলিন ” পেন কার্টিজ ৩০/৭০ অথবা এ্যানসুলিন” পেন কার্ট্রিজ এর ক্ষেত্রে কার্ট্রিজের সাসপেনশন সমভাবে মিশ্রণের জন্য ৮-১০ বার উপর থেকে নিচে মৃদু গতিতে ঝাঁকিয়ে নিন ।
সঠিক মাত্রা নির্ধারণে ডোজেজ বাটনটি ঘুরিয়ে নিন। নিলের সুরক্ষা ক্যাপ সরিয়ে এবং কার্টিজের ভিতরের বুদবুদ বের করে দিয়ে পেনটিকে প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত করে নিন। বহুবিধ দূষণ প্রতিরোধে পেন প্রস্তুতকালে নিড্লটি কোন কিছুর সংস্পর্শে আনবেন না ।
৪. ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান ইঞ্জেকশন প্রয়োগের জন্য বাহুর উপরিভাগ, উরু, নিতম্ব বা উদর বেছে নেয়া উচিত। কোষ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য পূর্ববর্তী স্থান হতে ১ সে.মি. দূরে ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা উচিত।
৫. ইঞ্জেকশন প্রয়োগবিধি ইঞ্জেকশন প্রয়োগের স্থান পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত করুন। একহাত দিয়ে প্রয়োগের স্থান টেনে ধরুন এবং সূচটি কোনকুনিভাবে প্রবেশ করিয়ে দিন। ইনসুলিন প্রয়োগ করুন এবং সূঁচটি বের করে প্রয়োগের স্থান না ঘষে আলতোভাবে চাপ দিয়ে ধরুন।
প্রয়োগমাত্রা:
প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রেই ইনসুলিনের ধরন, মাত্রা এবং প্রয়োগের সময় ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও খাদ্যতালিকা, কাজের ধরন এবং ব্যায়ামের তীব্রতার উপর ইনসুলিনের মাত্রা ভিন্ন হতে পারে। এ কারণে ডাক্তারের নির্দেশে ইনসুলিন ব্যবহার করা উচিত। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইনসুলিনের দৈনিক গড়মাত্রা ০.৫ থেকে ১ আই ইউ/কেজি।
বয়ঃসন্ধি পূর্ববর্তী শিশুদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ০.৭ হতে ১ আই ইউ/কেজি হতে পারে। বয়ঃসন্ধিকাল বা অতিরিক্ত ওজনজনিত ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর ক্ষেত্রে দৈনিক ইনসুলিনের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পায়। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে প্রারম্ভিক মাত্রা হিসেবে দৈনিক ০.৩ থেকে ০.৬ আই ইউ/কেজি দেয়া উচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
ইনসুলিন দ্বারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেকোন সময় হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে এবং এটি একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। কিছু ক্ষেত্রে এলার্জি দেখা দিতে পারে যেমন- চুলকানি, লাল ও ফুলে যাওয়া। এগুলো সাধারণত কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায় । ইনসুলিন ছাড়া অন্যান্য কারণ যেমন- দূর্বল ইঞ্জেকশন প্রয়োগ পদ্ধতি এবং জীবাণুনাশক দ্রবণ এর ফলেও এলার্জি দেখা দিতে পারে।
প্রতিনির্দেশনা:
হাইপোগ্লাইসেমিয়া অথবা ইনসুলিন বা এর কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
সতর্কতা:
টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের ব্যবহার বন্ধ বা অপর্যাপ্ত মাত্রার কারণে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিন গ্রহণের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। খাবার পরিহার বা অপরিকল্পিত ব্যায়ামের ফলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে:
ইনসুলিন পাসেন্টাল ব্যারিয়ার অতিক্রম করে না বলে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস চিকিৎসায় এর ব্যবহারে কোন বাধা নেই । স্তন্যদানকালীন মায়েদের চিকিৎসায় ইনসুলিন শিশুদের কোন ক্ষতি করে না।
অন্য ওষুধের সাথে বিক্রিয়া:
জন্ম নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, এড্রিনাল কর্টিক্যাল হরমোন, = থাইরয়েড হরমোন ইত্যাদি ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা 1 বাড়াতে হবে। অন্যদিকে, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, স্যালিসাইলেট, সালফানিলামাইড এবং এন্টিডিপ্রেস্যান্ট ওষুধগুলো রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়। এক্ষেত্রে । ইনসুলিনের মাত্রা কমানো উচিত।
সংরক্ষণ:
রেফ্রিজারেটরে ২°সে.- ৮°সে. তাপমাত্রায় 1 সংরক্ষণ করুন। হিমায়িত করবেন না। ব্যবহৃত হচ্ছে এমন কার্ট্রিজ রেফ্রিজারেটরের পরিবর্তে ঠাণ্ডা স্থানে, আলো ও তাপ থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। ব্যবহৃত – ইনসুলিন স্বাভাবিক তাপমাত্রায় একমাস সংরক্ষণ করা যায়। ;
সরবরাহ:
এ্যানসুলিন” আর পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্টিজে আছে ৩ মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সলিউশন। এ্যানসুলিন” পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্টিজে আছে ৩ – মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সাসপেনশন। এ্যানসুলিন ” ৩০/৭০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্টিজে আছে ৩ মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সাসপেনশন । এ্যানসুলিন ” ৫০/৫০ পেন কার্ট্রিজ: প্রতিটি কার্ট্রিজে আছে ৩ মি.লি. (৩০০ আই ইউ) সাসপেনশন ।
আরও দেখুনঃ