Site icon Medical Gurukul [ মেডিকেল গুরুকুল ] GOLN

Kop কপ ওষুধের যাবতীয় তথ্য

Kop কপ ওষুধের যাবতীয় তথ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Kop কপ ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।

Kop কপ ওষুধের যাবতীয় তথ্য

উপাদান :

কিটোপ্রোফেন ৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট, ১০০ ও ২০০ মি.গ্রা. এস আর ক্যাপসুল, ১০০ মি.গ্রা./২ মি.লি. আইএম ইঞ্জেকশন এবং ২.৫% জেল। নির্দেশনা প্রদাহী বাত, বাত, এনকাইলজিং স্পন্ডিলাইটিস, বারসাইটিস, টেনডিনাইটিস, অস্ত্রোপচারজনিত ব্যথা। বাত জনিত ব্যথা ও কোমল টিস্যুর অন্যান্য ব্যথা ও প্রদাহ নিরোধেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

 

 

মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :

কপ’ ট্যাবলেটের স্বাভাবিক সেবনমাত্রা হচ্ছে ৫০-১০০ মি.গ্রা.। অস্ত্রের জটিলতা পরিহারের জন্য এটি খাবারের সাথে গ্রহণ করা শ্রেয়। রোগের প্রকৃতি অনুযায়ী কপ’ ট্যাবলেটের মাত্রা নির্ধারণ করতে হয়। যেমন- বাতজনিত জটিলতার ক্ষেত্রে দৈনিক ১০০ – ২০০ মি.গ্রা., ২-৪ টি বিভক্ত মাত্রায়দেয়া হয়।

কপ’ ট্যাবলেটের মাত্রা রোগীর প্রয়োজন এ লক্ষণের উপশমের দিক সতর্কতার সাথে চ করে নির্ধারণ করা উচিৎ, যাতে করে রোগীকে সর্বনিম্ন অথচ কার্যকরী মাত্রায় ট্যাবলেট গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া সম্ভব হয়। দৈনিক ৩০০ মি.গ্রা.-এর অধিক মাত্রার কপ” ট্যাবলেট কখনও দেওয়া উচিৎ নয় কারণ অধিক মাত্রায় কপ’ ট্যাবলেটের কার্যকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য নেই। কপ এস আর ক্যাপসুল।

রোগের তীব্রতা ও রোগীর ওজন অনুযায়ী ১০০-২০০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার। কপ’ আই এম ইঞ্জেকশন: তীব্র প্রদাহজনিত ব্যথায় দ্রুত কার্যকারিতার জন্য একটি অথবা দুটি এ্যাম্পুল প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে। রূপ ২.৫% জেল। শুধুমাত্র ব্যথাযুক্ত স্থান সমূহে স্থানীয়ভাবে ব্যবহার উপযোগী। এটি বিভিন্ন ধরনের আঘাতজনিত এবং ব্যথায় স্বল্প মাত্রার চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শিশুদের জন্য কপ’ নির্দেশিত নয়।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :

যে সমস্ত রোগী কিটোপ্রোফেনের প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল তাদের ক্ষেত্রে রূপ ব্যবহার করা যাবে না। এসপিরিন বা অন্য কোন নন-স্টেরয়েডাল প্রদাহরোধী ওষুধ গ্রহণের ফলে যেসমস্ত রোগীর হাঁপানী বা অন্য কোন এলার্জি জনিত জটিলতা বৃদ্ধির পূর্ব ইতিহাস আছে তাদেরকে কিটোপ্রোফেন দেয়া যাবে না।

কিটোপ্রোফেনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা নেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ, কারণ এক্ষেত্রে আন্ত্রিক জটিলতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিটোপ্রোফেনের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে রোগীর লিভার বা যকৃতের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেণ করা উচিৎ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :

পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত যেসব বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে বদহজম, অগ্নিমান্দ্য,ক্ষুধামান্দ্য, বমিভাব, বুকজ্বালা ও পেটের গোলমাল। স্নায়ুবিক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথা ঝিম ঝিম ভাব, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, নিদ্রাহীনতা ইত্যাদি। অন্যান্য বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে দৃষ্টি সমস্যা, রেচনতন্ত্রের জটিলতা ইত্যাদি।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :

রক্তজমাটরোধী ওষুধ কিংবা থ্রোম্বোলাইটিক ওষুধ, হাইড্রোক্লোরোধায়াজাইড, স্যালিসাইলেট ও মিথোট্রেক্সেট।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :

গর্ভাবস্থায় ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে স্ত্যন্দানকারী মহিলাদের গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত।

 

 

সরবরাহ :

কপ ৫০ ট্যাবলেট : ৫ x ১০ টি। কপ° আই এম ইঞ্জেকশন ২x৫টি। কপ ২.৫% জেল : ২০ গ্রাম। কপত ১০০ এস আর ক্যাপসুল : ৫x ১০ টি। কপ ২০০ এস আর ক্যাপসুল : ৩x১০টি।

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version