আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Calcitro ক্যালসিট্রল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Calcitro ক্যালসিট্রল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
প্রতিটি লিকুইড ফিল্ড হার্ড জিলাটিন ক্যাপসুলে আছে ক্যালসিট্রায়ল বিপি ০.২৫ মাইক্রোগ্রাম (ভিটামিন D3 এর বায়োলজিক্যালি কার্যকর রূপ)।
নির্দেশনা :
•রজঃনিবৃত্তি পরবর্তীকালীন হাড় ক্ষয় -যাদের বৃক্কে ক্রণিক সমস্যা আছে (বিশেষতঃ যাদের হেমোডায়ালাইসিস চলছে) তাদের বৃক্কের অপারেশন পরবর্তী হাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম
•ইডিওপ্যাথিক হাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম
• সিউডো হাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম
• ভিটামিন ডি অভাবজনিত রিকেটস হাইপোফসফাটেমিক ভিটামিন ডি প্রতিরোধ্য রিকেটস
মাত্রা ও সেবনবিধি:
রক্তের ক্যালসিয়াম ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি রোগীর ক্যালস্ট্রিল® লিক্যাপ এর দৈনিক মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। ক্যালস্ট্রিলও এর কার্যকারিতা পাবার পূর্বশর্ত হলো চিকিৎসার শুরুতেই পর্যাপ্ত (কিন্তু অতিরিক্ত নয়) ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা।
ক্যালসিট্রল® লিক্যাপ চিকিৎসা চলাকালীন বয়স্কদের দৈনিক ৮০০ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত রজঃনিবৃত্তি পরবর্তীকালীন হাড়ের ক্ষয় ক্যালস্টিলও এর উপর উপযুক্ত মাত্রা ০.২৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতিদিন দুইবার। চিকিৎসাকালীন সেরাম ক্যালসিয়াম এবং ক্রিয়েটিনিন মাত্রা ৪ সপ্তাহ, ৩ ও ৬ মাস এবং পরবর্তীতে ৬ মাস বিরতিতে পরীক্ষা করতে হবে।
বৃক্কের অস্টিওডিজট্রফি (ডায়ালাইসিস রোগী) প্রাথমিক দৈনিক মাত্রা ০.২৫ মাইক্রোগ্রাম। যাদের রক্তে ক্যালসিয়াম ঘনত্ব স্বাভাবিক বা কিছুটা কম তাদের ১ দিন অন্তর ০.২৫ মাইক্রোগ্রাম মাত্রা যথেষ্ঠ হাইপোপ্যারাথাইরয়েডিজম এবং রিকেটস ক্যাললি লিক্যাপের নির্দেশিত প্রারম্ভিক মাত্রা হলো – ০.২৫ মাইক্রোগ্রাম, যা প্রতিদিন সকালে সেবনের জন্য।
রেনাল অস্টিওডিট্রফি, হাইপোপ্যারাথাইরয়ডিজম এবং রিকেটস্ রোগীর ক্ষেত্রে ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে । যদি উন্নতি না দেখা যায় সে ক্ষেত্রে ২-৪ সপ্তাহের ব্যবধানে ঔষধে মাত্রা বাড়ানো যেতে পারে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে বয়স্কদের ক্ষেত্রে কোন প্রকার মাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
ক্যালস্ট্রিায়ল এর চিকিৎসা ১৫ বছর গ্রহণ করা সত্ত্বেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবই সামান্য । সামান্য কিছু ক্ষেত্রে যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তা হলো- ক্ষুধামন্দা, মাথাব্যথা, বমি হওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য। ক্রণিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলো- জ্বর, পানি শূন্যতা, মূত্রনালীর সংক্রমণ, অতিরিক্ত মূত্রত্যাগ, ডিজট্রফি, উদাসীনতা ইত্যাদি ।
প্রতিনির্দেশনা:
ক্যালস্ট্রিায়ল বা এর যে কোন উপাদান এর প্রতি যদি কোন রোগীর অতি সংবেদনশীলতা থাকে তাহলে ক্যালস্ট্রিায়ল দেয়া উচিত নয়। হাইপারক্যালসেমিক রোগীদের এটা পরিহার করা উচিত।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
অতিরিক্ত মাত্রা প্রয়োগসত্ত্বেও ভিটামিন-ডি এর টেরাটোজেনিক প্রতিক্রিয়ার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র ভ্রুণের সম্ভাব্য ক্ষতির ঝুঁকি অপেক্ষা রোগীর সম্ভাব্য উপকারিতা বেশী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় ক্যালস্ট্রিল দেয়া যেতে পারে। ক্যালস্টিল লিক্যাপ গ্রহণকালীন সময়ে মা তার সন্তানকে দুগ্ধ পান করাতে পারেন। কিন্তু মা ও শিশুর রক্তের ক্যালসিয়াম মাত্রা পর্যবেক্ষনে রাখতে হবে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ বর্জন করতে হবে ক্যালসিট্রল লিক্যাপ ও থায়াজাইড ডাইইউরেটিক এর চিকিৎসা একই সাথে চললে সেমিয়া। হবার ঝুঁকি থাকে। যারা ডিজিটালিস গ্রহণ করছেন তাদেরকে ক্যালস্ট্রিল® লিক্যাপ সাবধানতার সাথে প্রয়োগ করতে হবে কেননা হাইপারক্যালসেমিয়া হলে তাদের কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া হবার আশংকা থাকে।
ম্যাগনেসিয়াম সম্বলিত ওষুধের কারনে হাইপারম্যাগনেসিমিয়া হতে পারে। ফসফেট সংযুক্তকারী ওষুধের মাত্রা রক্তের ফসফেট ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করতে হবে।
সরবরাহ:
ক্যালসিট্রল® লিক্যাপ প্রতি বাক্সে আছে ৩ x ১০ টি লিকুইড ফিল্ড হার্ড জিলাটিন।
আরও দেখুনঃ