আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Climycin ক্লিমাইসিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Climycin ক্লিমাইসিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
ক্লিন্ডামাইসিন হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি যা ক্লিন্ডামাইসিন ১৫০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য এবং ক্লিন্ডামাইসিন হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি যা ক্লিন্ডামাইসিন ৩০০ মি.গ্রা. এর সমতুল্য।
নির্দেশনা :
ক্লিন্ডামাইসিনের প্রতি সংবেদনশীল অ্যান-অ্যারোবিক ব্যাকটেরিয়া অথবা গ্রাম-পজিটিভ ব্যাকটেরিয়া যেমন- স্ট্রেপ্টোকক্কি, স্টেফাইলোকক্ক এবং নিউমোকক্কি দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের চিকিৎসায় ক্লিন্ডামাইসিন ব্যবহৃত হয়।
যেমন- উর্ধ্ব শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণ, নিম্ন শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বক ও কোমল কলার সংক্রমণ, অস্থি ও অস্থি সন্ধির সংক্রমণ, পেলভিক সংক্রমণ, উদরের অভ্যন্তরীন সংক্রমণ, সেপ্টিসেমিয়া, এন্ডোকার্ডাইটিস, দাঁতের সংক্রমণ এবং মাল্টি ড্রাগ রোসিসট্যান্ট প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপোরাম সংক্রমণে কুইনাইন ও এমোডিকুইনের সাথে বিকল্প সহযোগী চিকিৎসা হিসাবে।
মাত্রা ও ব্যবহারবিধিঃ
প্রাপ্ত বয়স্ক তীব্র সংক্রমণ: ১৫০ মি.গ্রা. থেকে ৩০০ মি.গ্রা. প্রতি ৬ ঘন্টা পরপর । অতি তীব্র সংক্রমণ: ৩০০ মি.গ্রা. থেকে ৪৫০ মি.গ্রা. প্রতি ৬ ঘন্টা পরপর । শিশুদের জন্য তীব্র সংক্রমণ: ৮ থেকে ১৬ মি.গ্রা./কেজি/দিন ৩-৪টি সমবিভক্ত মাত্রায়।
অতি তীব্র সংক্রমণ: ১৬ থেকে ২০ মি.গ্রা./কেজি/দিন ৩-৪টি সমবিভক্ত মাত্রায় । পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: ক্লিন্ডামাইসিন ব্যবহারের ফলে যে ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে- পেট ব্যথা, অন্ননালীর প্রদাহ, অন্ননালীর আলসার, বমিভাব, ডায়রিয়া, প্রুরাইটিস, স্কিন র্যাশ ও আর্টিকারিয়া।

প্রতি-নির্দেশনা:
ক্লিন্ডামাইসিন অথবা লিঙ্কোমাইসিন অথবা এ ওষুধের যে কোন উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে ইহা প্রতিনির্দেশিত। সতর্কতা: যেসব রোগীদের পরিপাকতন্ত্রের রোগ বিশেষতঃ কোলাইটিস এর ইতিহাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ক্লিন্ডামাইসিন ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
ক্লিন্ডামাইসিন নিউরোমাসকুলার বকিং ওষুধের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। সেজন্য এ ধরণের ওষুধের সাথে ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ল্যাবরেটরী পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ক্লিন্ডামাইসিন ও এরিথ্রোমাইসিন পরস্পরের কার্যকারিতা প্রতিহত করে। ক্লিনিক্যাল গুরুত্ব বিবেচনা করে এ দুটি ওষুধ এক সাথে ব্যবহার করা উচিত নয় ।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
গর্ভাবস্থায়: প্রেগনেন্সি ক্যাটাগরি-বি: ক্লিন্ডামাইসিন মানবদেহের পাসেন্টা অতিক্রম করে। বারবার ব্যবহারের পরে এমনিওটিক ফ্লুইডে এ ওষুধের মাত্রা মায়ের মাত্রার ৩০%। সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা থাকলেই কেবল মাত্র ক্লিন্ডামাইসিন গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা উচিত স্তন্যদানকালে মাতৃদুগ্ধে ক্লিন্ডামাইসিন উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সুতরাং স্তন্যদানকালে এ ওষুধটির সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা না থাকলে নির্দেশিত নয় ।
নবজাতক ও শিশুদের ক্ষেত্রে:
নবজাতক ও শিশুদের ক্ষেত্রে ক্লিন্ডামাইসিন ব্যবহারকালে বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা যাচাই করা উচিত । সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা না থাকলে নির্দেশিত নয় ।
মাত্রাধিক্য: মুখে সেব ক্লিন্ডামাইসিন এর ক্ষেত্রে মাত্রাধিক্যের ঘটনা বিরল। মাত্রাধিক্যের ফলে যেসব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তা স্বাভাবিক মাত্রার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার অনুরূপ। এছাড়াও অপ্রত্যাশিত কিছু প্রতিক্রিয়াও দেখা যেতে পারে। রক্ত হতে ক্লিন্ডামাইসিন দূরীকরণে হিমোডায়ালাইসিস ও পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস অকার্যকর।
সরবরাহ
ক্লিমাইসিন ১৫০ ক্যাপসুল: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ক্যাপসুল। ক্লিমাইসিন ৩০০ ক্যাপসুল: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ক্যাপসুল।
আরও দেখুনঃ