Site icon Medical Gurukul [ মেডিকেল গুরুকুল ] GOLN

গলব্লাডার জন্ডিস | বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি

গলব্লাডার জন্ডিস

গলব্লাডার জন্ডিস আজকের আলোচনা বিষয় | The gallbladder is a small pouch that sits just under the liver. The gallbladder stores bile produced by the liver. After meals, the gallbladder is empty and flat, like a deflated balloon. Before a meal, the gallbladder may be full of bile and about the size of a small pear. গলব্লাডার বা পিত্তথলি হল মুক্তোর আকৃতির একটা প্রত্যঙ্গ, যা লিভার বা যকৃতের ডানদিকে ঠিক নীচে থাকে। গলব্লাডারের প্রধান কাজ হল লিভার থেকে উৎপন্ন পাচকরস (পিত্ত) সংগ্রহ করে জমা করা।

খাওয়াদাওয়ার পর গলব্লাডার থেকে পিত্ত বের হয়, যা হজমে সাহায্য করে। বেঁকা নলাকৃতির পথ (পিত্তনালী) ধরে পিত্ত ক্ষুদ্রান্ত্রে চলে যায়। গলব্লাডার কেটে বাদ দিলে হজমে কোনও সমস্যা হয় না। গলব্লাডার জন্ডিস [ Gallbladder jaundice ] ক্লাসটি বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি (Basic Anatomy and Physiology) কোর্সের অংশ | বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি (Basic Anatomy and Physiology) কোর্সের প্রায় সকল ক্লাস “গুরুকুল মেডিকেল এডুকেশন (Gurukul Medical Education)” চ্যানেলে রাখা হয়েছে, বাংলাদেশের “স্বাস্থ্য শিক্ষা (Medical Education)” খাতের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য।

 

গলব্লাডার জন্ডিস

জন্ডিস হবার মূল কারণ হল রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়া। বিলিরুবিন এক ধরণের হলুদ রঙের পদার্থ, যেটা রক্তে উপস্থিত লাল রক্ত কনিকার ১২০ দিনের চক্র পূরণ হলে ভেঙ্গে তৈরি হয়। বিলিরুবিনে বিলি থাকে, যেটা লিভারে তৈরি পাচক তরল পদার্থ এবং এটি গলব্লাডারে থাকে। এটা খাবারকে হজম করতে এবং মল তৈরি হতে সাহায্য করে। যদি কোন কারণের ফলে বিলিরুবিন বিলির সাথে মিশতে না পারেকিংবা যখন লাল রক্ত কনিকা সামান্য থেকে কম পরিমাণে ভাঙতে শুরু করে, তখন রক্তে বিলিরুবিনের স্তর দ্রুত বাড়তে থাকে। আর এই ভাবে এটা অন্য অঙ্গে পৌঁছে সেখানে হলুদ ভাবের সৃষ্টি করে।

 

 

জন্ডিসের লক্ষণ

জন্ডিসের নাম শুনেই বোঝা যায় এটা একটা হলুদ রোগ। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন অংশ হলুদ হয়ে যায়। এছাড়াও জন্ডিসের অনেক লক্ষণ আছে যে গুলো দেখে বোঝা যাবে মানুষটির জন্ডিস হয়েছে কি না।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বেশির ভাগ মানুষ জন্ডিস হল বৈজ্ঞানিক ঔষধের বদলে ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে থাকে। এইজন্য আসুন আমরা জানি, কিছু ঘরোয়া উপায় যেগুলি ব্যবহার করে আপনি জন্ডিসের চিকিৎসা করতে পারবেন।

  1. আঁখের রসআঁখের রস দিনে কয়েকবার পান করা উচিৎ। জন্ডিসের জন্য এটা খুব উপকারী। আঁখের রস পান করলে জন্ডিস খুব দ্রুত সেরে যায়।
  2. ঘোলজন্ডিস হলে প্রতিদিন এক গ্লাস ঘোল খাওয়া দরকার। এতে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে এর গুন আরও বেড়ে যায় এবং এটি কিছুদিনের মধ্যেই জন্ডিসকে পুরোপুরি শেষ করে দেয়।
  3. পেয়াজ দিয়ে চিকিৎসাপেয়াজ জন্ডিসে খুব লাভবান হয়। পেয়াজকে কেটে নিন এবং লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। কিছু ঘণ্টা পর এই পেয়াজকে বাইরে বার করে নিন। এতে লবণ এবং গোলমরিচ মিশিয়ে রোগীকে খাওয়ান। দিনে দুবার এই পিয়াজকে খেলে জন্ডিস খুব তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে যায়।
  4. ফলফলের মধ্যে তরমুজ এবং খারবুজা, দুটোই জন্ডিস দূরীকরণে খুব উপকারী। এগুলিকে বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিৎ। এতে জন্ডিস দ্রুত ঠিক হয়ে যায়।
  5. লেবুর রসলিভার কোষের সুরক্ষা বৃদ্ধি করার জন্য দিনে ৩-৪ বার লেবুর রস জলে মিশিয়ে পান করুন।কিছু দিনের মধ্যেই আপনি জন্ডিস থেকে ছুটি পেতে পারেন।
  6. মুলো পাতামুলো পাতা জন্ডিসের চিকিৎসার জন্য খুব উপকারী। পাতা গুলিকে বেটে তার থেকে রস বার করে সেটিকে খেলে খুব ভাল হয়। এটি খিদে বাড়াবে এবং পেট পরিষ্কার করবে। এবং আপনি জন্ডিস থেকে ছুটি পাবেন।
  7. টমেটোর রসটমেটোর রস জন্ডিসের জন্য খুব উপকারী। টমেটোর রসের সাথে লবণ এবং গোলমরিচ মিশে পান করুন।
  8. বিশেষ সাবধানতা গ্রহণ করুনস্বাস্থ্যে উন্নতি আনার জন্য এক দুই কিলোমিটার ঘুরুন এবং কিছুক্ষন রোদ্দুর বসে থাকুন। ভোজনের সময় সেই সব খাবার গ্রহণ করুন যেগুলির মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন C, ভিটামিন E এবং ভিটামিনB এর উপাদান বর্তমান রয়েছে।পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেলেও খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন অবেহেলা করবেন না। ব্যায়াম করুন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন থাকুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  9. জন্ডিসে যে সব খাবার খাবেন নাচর্বি জাতীয় খাবার যেমন তেল, ঘি, মাখন কমপক্ষে ১৫ দিন পর্যন্ত খাবেন না। এর কিছু দিন পর থেকে মাখন বা জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন। ডাল খাবেন না।

 

 

গলব্লাডার জন্ডিস নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version