Site icon Medical Gurukul [ মেডিকেল গুরুকুল ] GOLN

জিন এর ধারণা | বেসিক সাইন্স

জিন এর ধারণা

জিন এর ধারণা জকের আলোচনা বিষয় | A brief description of the basic concept of gene in this video.How Gene works has been discussed. জিন [Gene] | বেসিক সাইন্স [basic science], জেনেটিক্স ক্লাসটি বেসিক সাইন্স (basic science) কোর্সের অংশ | বেসিক সাইন্স (basic science) কোর্সের প্রায় সকল ক্লাস “গুরুকুল মেডিকেল এডুকেশন (Gurukul Medical Educaiton)” চ্যানেলে রাখা হয়েছে, বাংলাদেশের “স্বাস্থ্য শিক্ষা (Medical Educaiton)” খাতের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য।

 

জিন এর ধারণা

বংশাণু বা জিন (ইংরেজি হলো Gene) জীবন্ত প্রাণের বংশগতির আণবিক একক। এটি বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় কর্তৃক ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় মূলত ডাইঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) এবং রাইবোনিউক্লিক এসিড (আরএনএ) এর প্রসারিত অর্থে যা পলিপেপটাইড বা একটি আরএনএ শৃঙ্খলকে গঠন করে। জীবন্ত প্রাণী বংশাণুর ওপর নির্ভর করে, কারণ তারা সকল প্রোটিন এবং গঠনমূলক আরএনএ শৃঙ্খলকে স্বতন্ত্রিত করে। বংশাণু প্রজাতির তথ্যধারণ করে এবং প্রাণীর কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে।

 

 

এর মাধ্যমেই প্রজাতির গুণ অব্যাহত থাকে। সমস্ত জৈবিক বৈশিষ্ট্যধারণকারী প্রাণীর বংশাণু আছে। ইংরেজি জিন শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ জেনেসিস থেকে যার অর্থ “জন্ম” বা জিনোস থেকে যার অর্থ “অঙ্গ”। জিন কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী জোহান সেন ১৯০৯ সালে।

বর্তমানে বংশাণুর সংজ্ঞা হল “বংশাণুসমগ্র পরস্পরার একটি চিহ্নিতকরণযোগ্য অঞ্চল, যা বংশগতির একক ধারণ করে এবং এটি নিয়ন্ত্রক অঞ্চল, প্রতিলিপি অঞ্চল, এবং অন্য কার্যিক ক্রম অঞ্চলের সাথে সম্পর্কযুক্ত”। বড় বংশাণুগুলি এক ধরনের নিউক্লিয়ার প্রতিলিপি যা ৫০০ কেবি (১ কে বি – ১,০০০ বেস পেয়ার) বা ক্রোমোজোমাল ডিএনএর সমান। বড় বংশাণুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় বংশাণুটি ডিস্ট্রোফিন-এর জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ২.৩ এমবির চেয়ে বড়।

বিজ্ঞানী জর্জ বীডল ও রিয়াদ Neurospora crassa নামক ছত্রাক নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পর বলেন যে, নির্দিষ্ট বংশাণু নির্দিষ্ট এনজাইম তৈরির জন্য দায়ী। এর মাধ্যমেই গ‍্যারুল(১৯০৮) সর্বপ্রথম এক বংশাণু এক উৎসেচক মতবাদ চালু করেন। এর আগেই জানা ছিল এনজাইম মানেই প্রোটিন, তাই পরবর্তীতে উক্ত মতবাদ পরিমার্জন করে বলা হয় এক বংশাণু এক পলিপেপ্টাইড চেইন। অর্থাৎ এনজাইম ও প্রোটিন অণু বংশাণু কর্তৃক সৃষ্ট।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সিকল সেল হিমোগ্লোবিন (৬০০ অ‍্যামিনো এসিড নিয়ে গঠিত) নিয়ে কাজ করে ভারনন ইনগ্রাম(১৯৫৯) দেখান যে, এই প্রোটিনে ৬০০ অ‍্যামিনো এসিড একটি নির্দিষ্ট সাজে সজ্জিত। এ থেকেই প্রমাণিত হয় যে অ‍্যামিনো এসিডের ভিন্ন ভিন্ন সাজ পদ্ধতির জন‍্যই বহু বৈচিত্র্যময় এনজাইম তৈরি হয় এবং এক একটি এনজাইম এক একটি সুনির্দিষ্ট জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য দায়ী। তাই প্রোটিনকে বলা হলো জীবনের ভাষা 

ক্রোমোজোমে, বিশেষ করে সুগঠিত নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমে প্রোটিন এবং ডি এন এ দুটোই থাকে। Pneumococci নিয়ে গবেষণা করে ফ্রেডেরিক গ্রিফিথ দেখেন যে, এর ভাইরুলেন্ট প্রকরণের ক‍্যাপসুল সৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্যটি স্থানান্তরযোগ‍্য। পরবর্তীতে ও টি এভেরি প্রমাণ করেন যে, এই ব‍্যাকটেরিয়ার ক‍্যাপসুল তৈরির বৈশিষ্ট্য স্থানান্তরিত হয় ডি এন এ দিয়ে। কাজেই বোঝা গেল DNA-ই হচ্ছে বংশাণু

 

 

জিন এর ধারণা নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version