আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Zif জিফ ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Zif জিফ ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ফেরাস সালফেট ১৫০ মি.গ্রা., জিংক সালফেট ৬১.৮ মি.গ্রা. এবং ফলিক এসিড ৫০০ মাইক্রোগ্রাম/ক্যাপসুল।
নির্দেশনা :
গর্ভাবস্থায় এবং অন্যদানকালীন অবস্থায় আয়রণ, ফলিক এসিড এবং জিংকের ঘাটতি পূরণে অথবা আয়রণ, ফলিক এসিড এবং জিংকের প্রতিরোধমূলক চিকিৎসায় নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
দৈনিক ১টি ক্যাপসুল।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
যাদের এই জাতীয় ওষুধে অতিসংবেদনশীলতা আছে তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। যে সমস্ত রোগীদের হিমোক্রোম্যাটোসিস, হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া অথবা রেড সেল অ্যাপাসিয়া হয় তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
গাঢ় রংযুক্ত মল, বমি ভাব এবং কখনও কখনও পরিপাকতন্ত্রীয় জ্বালাপোড়া যেমন- ক্ষুধামন্দা, বমি, অস্বাচ্ছন্দ্য, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। পরবর্তী পর্যায়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রণ ব্যবহার করতে হবে।
সরবরাহ :
জিফ ক্যাপসুল : ১০ x ১০ টি।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ