আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Tryptin ট্রিপটিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Tryptin ট্রিপটিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
এ্যামিট্রিপটাইলিন ১০ ও ২৫ মি.গ্ৰা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
বিষণ্নতাজনিত অসুস্থতা, বিশেষত মানসিক দুশ্চিন্তা এবং মূত্রের বেগ ধারণে অক্ষমতা বিশেষত শিশুদের রাত্রিকালীন শয্যায় মূত্রত্যাগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
বিষণ্নতায় ২৫-৫০ মি.গ্রা. প্রতিদিন বিভক্তমাত্রায় ও একক মাত্রায় ঘুমানোর পূর্বে। রাত্রিকালীন শয্যায় মূত্রত্যাগ: ৬-১০ বছর: ১০- ২০ মি.গ্রা. ঘুমানোর পূর্বে। ১১-১৬ বছর: ২৫-৫০ মি.গ্রা. ঘুমানোর পূর্বে ৩ মাস পর্যন্ত ।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
মৃগীরোগীদের ক্ষেত্রে, গ্লুকোমা, মূত্র প্রতিবন্ধকতা, প্রোস্ট্যাটিক হাইপারট্রফি, বহুমূত্র, গর্ভাবস্থায় সাবধানতার সাথে ব্যবহার করা উচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
রক্ত চাপ কমে যাওয়া, সিনকোপ, বুক ধড়ফড় করা, হেলুসিনেশন, আলোক সংবেদনশীলতা, মাথা ঝিম ঝিম করা, দুর্বলতা, অবসাদ এবং ওজন কমে যাওয়া।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
মনোএমাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটর, এড্রিনালিন, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র নিস্তেজকারক, এলকোহল এবং সিমেটেডিন ।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় অনুমোদিত নয়। নবজাতকের মারাত্মক রকমের ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য সিন্ধান্ত নিতে হবে যে স্তন্যদান থেকে বিরত থাকবে অথবা ওষুধ সেবন বন্ধ করতে হবে।
সরবরাহ :
ট্রিপটিন’ ১০ ট্যাবলেট : ২০ x ১০ টি। ট্রিপটিন ২৫ ট্যাবলেট: ২০ x ১০ টি।
ঔষধের প্রয়োগ প্রক্রিয়া
যে উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হোক না কেন, ঔষধ সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে দেয়া হয়ে থাকে। এগুলোকে ঔষধের রুট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশান (routes of administration) বলা হয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হল:
দেহের অভ্যন্তরে
মুখে (orally)
পায়ু ও যোনিপথে সাপোজিটরি হিসেবে (rectally and vaginally as suppository)
নিঃশ্বাসের মাধ্যমে (inhalation)
জিহ্বার নিচে (sublingually)
অনান্ত্রিক পথে (parenteral routes)
আন্তঃধমনী বোলাস (intravenous bolus)
আন্তঃধমনী ইনফিউশন (intravenous infusion)
আন্তঃপেশী (intramuscular)
সাবকিউটেনিয়াস (subcutaneous)
দেহের বাইরে
ত্বকের ওপর (topically)
আরও দেখুনঃ