আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Dibenol ডায়াবিনল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Dibenol ডায়াবিনল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
গ্লিবেনকামাইড ৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ।
নির্দেশনা :
টাইপ-২ ডায়াবেটিস মেলিটাস।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
১/২ টি ট্যাবলেট (২.৫ মি.গ্রা.)- ৩ টি ট্যাবলেট। দৈনিক মাত্রা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রার উপর নির্ভরশীল।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
যে সমস্ত রোগীদের ডায়াবেটিসের সংগে জ্বর, আঘাত, ক্ষত, টাইফয়েড, গ্যাংগ্রীন, ডায়াবেটিক সংজ্ঞাহীনতা, প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় যাদের লিভার ও কিডনি সুস্থ্য ভাবে কাজ করে না সেই সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয় ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, প্যারাসথেসিয়া এবং মাথা ব্যথা ইত্যাদি দেখা যায়। এলার্জিক বিক্রিয়া জনিত চর্ম রোগ এবং রক্তের বিভিন্ন রোগ যেমন লিউকোপেনিয়া, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া মাঝে মধ্যেই পরিলতি হয় ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
এলকোহল, সাইকোফসফ্যামাইড, ডাইকোমারল, মনো অ্যামাইনো অক্সিডেজ প্রতিবন্ধক, ফিনাইল বিউটাজোন, প্রোপানোলল, অন্যান্য নেটা এড্রেনারজিক বন্ধকারী।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
সরবরাহ :
ডায়বিনল’ ট্যাবলেট। ২০x১৫টি।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ