Site icon Medical Gurukul [ মেডিকেল গুরুকুল ] GOLN

Dexonex c ডেক্সোনেক্স সি ওষুধের যাবতীয় তথ্য

Dexonex c ডেক্সোনেক্স সি ওষুধের যাবতীয় তথ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Dexonex c ডেক্সোনেক্স সি ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।

Dexonex c ডেক্সোনেক্স সি ওষুধের যাবতীয় তথ্য

উপাদান:

ডেক্সোনেক্স-সিTM চোখ/কানের ড্রপস্। প্রতি মি.লি. এ আছে ১ মি.গ্রা. ডেক্সামিথাসন ফসফেট এর সমতুল্য ডেক্সামিথাসন সোডিয়াম ফসফেট বিপি এবং ৫ মি.গ্রা. ক্লোরামফেনিকল বিপি ।

 

 

নির্দেশনা:

চোখ স্টেরয়েড সংবেদনশীল চোখের প্রদাহে এবং যেখানে ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট সংক্রমণের ঝুঁকি আছে সেসব ক্ষেত্রে নির্দেশিত। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী এ্যান্টেরিওর ইউভিয়াইটিস এবং রাসায়নিক তেজস্ক্রিয়তা অথবা পুড়ে যাওয়া অথবা বাহ্যিক কনা দ্বারা সৃষ্ট কর্ণিয়ার ক্ষততে ইহা নির্দেশিত ।

এছাড়াও চোখের অপারেশন পরবর্তী প্রদাহ এবং অন্যান্য যেকোন ধরনের চোখের প্রদাহে এই ওষুধটি নির্দেশিত। কান: ওটাইটিস এক্সটারনা, ওটাইটিস মিডিয়া, ক্রনিক সুপারেটিভ ওটাইটিস মিডিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় ।

মাত্রা ও ব্যবহারবিধি।

চোখে প্রয়োগ কর্ণিয়ার ক্ষত: প্রথমদিন প্রথম ৬ ঘন্টার জন্য আক্রান্ত চোখে ১৫ মিনিট পরপর ২ ফোটা করে প্রয়োগ করতে হবে এবং দিনের অবশিষ্ট সময়ে আক্রান্ত চোখে ৩০ মিনিট পর পর ২ ফোটা করে প্রয়োগ করতে হবে। দ্বিতীয় দিন প্রতি ঘন্টা পর পর ২ ফোঁটা করে আক্রান্ত চোখে প্রয়োগ করতে হবে।

তৃতীয় দিন থেকে চৌদ্দ দিন পর্যন্ত প্রতি ৪ ঘন্টা পর পর ২ ফোঁটা করে আক্রান্ত চোখে প্রয়োগ করতে হবে। যদি কর্ণিয়ার পুনঃ এপিথে লিয়াম দেখা না দেয় তাহলে ১৪ দিনের পরেও চিকিৎসা চলতে থাকবে।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ব্যাকটেরিয়া জনিত কনজাংটিভার প্রদাহ: স্বাভাবিক মাত্রা হলো প্রথম ২ দিন জাগ্রত অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে ১-২ ফোঁটা করে প্রতি ২ ঘন্টা পর পর কনজাংটিভার খলিতে প্রয়োগ করতে হবে এবং পরবর্তী ৫ দিন জাগ্রত অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে ১-২ ফোঁটা করে প্রতি ৪ ঘন্টা পর পর প্রয়োগ করতে হবে।

কানে প্রয়োগ প্রথমাবস্থায় সকল ব্যাকটেরিয়া জনিত কানের ক্ষত চিকিৎসায় ২-৩ ড্রপস্ ওষুধ দিনে ২-৩ ঘন্টা পর পর আক্রান্ত কানে প্রয়োগ করতে হবে, সংক্রমণের উন্নতির সাথে সাথে মাত্রা কমাতে হবে। চিকিৎসা শুরুর প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা বিরতি থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না:

এপিথেলিয়াল হারপিস কেরাটাইটিস (ডেনড্রাইটিক অন্যান্য ভাইরাসের দ্বারা কর্ণিয়া ও কনজাংটিভার সংক্রমণ দেখা দিলে ব্যবহার করা যাবে না। চোখে থাকলে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। কেরাটাইটিস), ভ্যাকসিনিয়া, ভ্যারিসেলা এবং মাইকোব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ব্যবহার করা যাবে না।

চোখে অথবা অরিকুলার স্ট্রাকচারে ফাংগাস এর সংক্রমণে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। এই ওষুধের যেকোন উপাদানের অতিশংবেদনশীলতা থাকলে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।

শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার:

শিশুদের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং কার্যক্ষমতা এখনো প্রতিষ্ঠিত নয় ।

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া:

স্থানীয় জ্বালাপোড়া বা অস্বস্থি, চুলকানি, বাহিরের নজর উপস্থিতির অনুভূতি, দানাদার তলানি, চোখের পাতার পাশে ফেঁটে যাওয়া, কনজাংটিভায় রক্ত সঞ্চায়ন, প্রয়োগের পর বিস্বাদ লাগা। উপরন্ত কর্ণিয়ার দাগ পড়া, এলার্জিক ক্রিয়া, অশ্রু ঝরা, আলোতাক্ষ এবং বমি বমি ভাবের অভিযোগ পাওয়া যেতে পারে।

 

 

সরবরাহ:

ডেক্সোনেক্স-সি চোখ/কানের ড্রপস্ : প্রতিটি কনটেইনারে রয়েছে ৫ মি.লি. ডেক্সামেথাসন সোডিয়াম ফসফেট বিপি এবং ক্লোরামফেনিকল বিপি এর জীবাণুমুক্ত প্রবণ।

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version