আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Neurolin নিউরোলিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Neurolin নিউরোলিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
প্রিগাবালিন আইএনএন। ২৫ মি.গ্রা.,৫০ মি.গ্রা., ৭৫ মি.গ্রা. এবং ১৫০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল।
নির্দেশনা:
নিউরোলিন (প্রিগাবালিন); ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি দ্বারা ঘটিত নিউরোপ্যাথিক ব্যথাতে এবং পোস্ট হার্পেটিক নিউরালজিয়াতে নির্দেশিত। বয়স্কদের জন্য এটি পার্শ্বিয়াল অনসেট সিজারে সংযোজিত চিকিৎসা হিসেবে নির্দেশিত। ফায়ব্রোমায়ালজিয়া ব্যবস্থাপনায় ও এটি ব্যবহার করা যায় ।
মাত্রা ও ব্যবহারবিধি
ডায়েবেটিক পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি সাথে সংগঠিত নিউরোপ্যাথিক ব্যথা: যে সব রোগীদের ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স প্রতি মিনিটে ৬০ মি.লি. তাদের ক্ষেত্রে নিউরোলিন (প্রিগাবালিন) এর সর্বোচ্চ নির্দেশিত মাত্রা হল ১০০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার (দৈনিক ৩০০ মি.গ্রা.)। কার্যকারিতার উপর নির্ভর করে দিনে ৩ বার ৫০ মি.গ্রা. ওষুধ প্রদান শুরু করা উচিত, যা পরে দৈনিক ৩০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে ।
পোস্টহার্পেটিক নিউরালজিয়া যে সব রোগীদের ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স সর্বনিম্ন ৬০ মি.লি./মিনিট তাদের ক্ষেত্রে নিউরোলিন (প্রিগাবালিন) এর মাত্রা হল ৭৫-১৫০ মি.গ্রা. দিনে ২ বার অথবা ৫0-100 মি.গ্রা. দিনে ৩ বার (দৈনিক ১৫০-৩০০ মি.গ্রা.) দৈনিক ৭৫ মি.গ্রা. করে ২ বার অথবা ৫০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার সেবন শুরু করা উচিত যা কার্যকারিতা এবং সহনশীলতার উপর নির্ভর করে এক সপ্তাহের ভিতর ৩০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত উন্নীত করা যেতে পারে।
পার্শ্বিয়াল অনসেট সিজার এর সহযোজিত চিকিৎসায় নিউরোলিন (প্রিগাবালিন) প্রাপ্ত বয়স্কদের পার্শ্বিয়াল অনসেট সিজারে দৈনিক ১৫০-৬০০ মি.গ্রা. সেবন মাত্রায় কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। দৈনিক সর্বমোট মাত্রাকে বিভক্ত করে ২ অথবা ৩ বার।

সাধারণভাবে ইহা সুপারিশকৃত যে রোগীকে দৈনিক সর্বমোট সর্বোচ্চ ১৫০ মি.গ্রা. (৭৫ মি.গ্রা. দিনে ২ বার অথবা ৫০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার) মাত্রায় প্রদান করা হবে। প্রত্যেক রোগীর ক্রিয়া এবং সহনশীলতার উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ দৈনিক ৬০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়।
ফায়ব্রোমায়ালজিয়া ব্যবস্থাপনায়: ফায়ব্রোমায়ালপিয়াতে নিউরোলিন (প্রিগাবালিন) এর সুপারিশকৃত মাত্রা হল- দৈনিক ৩০০-৪৫০ মি.গ্রা.। দৈনিক ৭৫ মি.গ্রা. করে দিনে ২ বার মাত্রায় (১৫০ মি.গ্রা.) সেবন শুরু করা উচিত, যা ওষুধের কার্যকারিতা এবং সহনশীলতার উপর নির্ভর করে এক সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক ১৫০ মি .গ্রা. করে দিনে ২ বার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
যে সব রোগীর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত উপশম লক্ষিত হয় না তাদের ক্ষেত্রে মাত্রা প্রত্যহ ২ বার ২২৫ মি.গ্রা. পর্যন্ত (দৈনিক ৪৫০ মি.গ্রা.) বৃদ্ধি করা যেতে পারে । খাবার সেবনের সাথে নিউরোলিনের কার্যকারিতার কোন সম্পর্ক নেই।
সতর্কতা ও যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না:
অতি প্রতিক্রিয়াশীল রোগীদের ক্ষেত্রে নিউরোলিন প্রতি নির্দেশিত। প্রিগাবালিন এর সেবন হঠাৎ বন্ধ করে দিলে তা অনিদ্রা ক্ষুধামন্দা, মাথাব্যথা অথবা ডায়রিয়ার মত উপসর্গ তৈরি করতে পারে । তাই এর সেবন ধীরে ধীরে সর্বনিম্ন এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ করা উচিত। প্রিগাবালিন এর সেবন ক্রিয়াটিনিন ক্লিয়ারেন্স বৃদ্ধি করতে পারে। মায়োপ্যাথি দেখা দিলে অথবা ক্রিয়াটিনিন কাইনেজ এর মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে প্রিগাবালিন সেবন তৎক্ষনাৎ বন্ধ করা উচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ঝিমুনি, ঘুমঘুমভাব, শুষ্ক মুখ, ইডিমা, ঝাঁপসা দৃষ্টি, ওজন বৃদ্ধি এবং অস্বাভাবিক চিন্তা । গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে। গর্ভাবস্থায় প্রিগাবালিন ব্যবহার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সি এর অন্তর্ভূক্ত। তাই এটি তখনই ব্যবহার করা উচিত যখন এর উপকারিতা এ ঝুকির তুলনায় অনেক বেশি হবে।
সরবরাহ:
নিউরোলিন” ২৫ মি.গ্রা. ক্যাপসুল: প্রতি বাক্সে আছে ৩০ টি ক্যাপসুল। নিউরোলিন’ ৫০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল: প্রতি বাক্সে আছে ৩০ টি ক্যাপসুল। নিউরোলিন’ ৭৫ মি.গ্রা. ক্যাপসুল: প্রতি বাক্সে আছে ৩০ টি ক্যাপসুল। নিউরোলিন ১৫০ মি.গ্রা. ক্যাপসল- প্রতি বাক্সে আছে ১০ টি ক্যাপসুল ।
আরও দেখুনঃ