আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Nomi নোমি ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Nomi নোমি ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
জলমিট্রিপ্টান ২.৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
অরা সহ ও অরা ছাড়া মাইগ্রেনের ব্যথায় নির্দেশিত ।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
সাধারণত ২.৫ মি.গ্রা.। যদি মাইগ্রেনের লক্ষণ সমূহ থেকে যায় অথবা পুনরায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবার দেখা যায়, দ্বিতীয়বার একই মাত্রায় এই ওষুধ গ্রহণ করে সুফল পেতে দেখা যায় । কিন্তু দ্বিতীয় বার ওষুধ গ্রহণ ও প্রথম বারের ওষুধ গ্রহণের মধ্যে কমপক্ষে ২ ঘণ্টার ব্যবধান থাকতে হবে। পরবর্তী মাইগ্রেনের সময় ৫ মি.গ্রা. মাত্রায় দেয়া যেতে পারে।

সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
যে সমস্ত রোগীর অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। উলফ্-পারকিনসন- হোয়াইট উপসর্গ আছে এমন রোগী অথবা এরিদমিয়া সহ অন্যান্য রক্ত সংবহনতন্ত্রীয় সমস্যায় এর ব্যবহার অনুচিত। আর্গোটামিন এবং জলমিট্রিপটান নেয়ার মধ্যে কমপক্ষে ৬ ঘণ্টার ব্যবধান থাকতে হবে। জলমিট্রিপ্টান এর ব্যবহারের কমপক্ষে ১২ ঘণ্টার মধ্যে একই ধরণের অন্য ওষুধ ব্যবহার করা অনুচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
সাধারণত সহনশীল। যে সমস্ত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সমূহ দেখা যেতে পারে, সেগুলো হলো বমি বমি ভাব, ঘুম ঘুম ভাব, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, অতিরিক্ত গরম লাগা এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া, গলা, ঘাড়, হাত- পা এবং বুকে ভারী ভারী লাগা, আটকা লাগা অথবা চাপ অনুভব হতে পারে। এছাড়া মাংশপেশীতে ব্যথা, দুর্বলভাব হতে পারে।
সরবরাহ :
নোমি’ ট্যাবলেট : ২ x ৬ টি।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ