আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Nalid ন্যালিড ওষুধের যাবতীয় তথ্য । বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Nalid ন্যালিড ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ন্যালিডিক্সিক এসিড ৫০০ মি.গ্ৰা. ট্যাবলেট এবং ৩০০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. পাউডার সাসপেনশন ।
নির্দেশনা :
মূত্রনালীর সংক্রমণে ব্যবহার করা হয় ।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
তিন মাস এবং অধিক বয়স্ক শিশুদের ক্ষেত্রে : প্রাথমিক মাত্রা : ১৩.৭৫ মি.গ্রা. প্রতি কেজি দেহ ওজনে ৬ ঘন্টা পর পর এক সপ্তাহ অথবা ২ সপ্তাহ। রক্ষণ মাত্রা ৮.২৫ মি.গ্রা. প্রতি কেজি দেহ ওজনে প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে : ১ গ্রাম প্রতি ৬ ঘন্টা পর পর ৭ দিন। পরবর্তীতে কমিয়ে অসুখের তীব্রতার উপর নির্ভর করে ৫০০ মি.গ্রা. প্রতি ৬ ঘণ্টা পর পর দেয়া যেতে পারে অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
৩ মাস বয়সের নীচের শিশুদের জন্য উপযোগী নহে। মৃগী রোগীদের ক্ষেত্রে এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কোন প্রকার উপসর্গ দেখা দিলে ন্যালিডিক্সিক এসিড ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
পাকস্থলীর অস্বাচ্ছন্দ্য, বমি বমি ভাব, উদরাময়, এলার্জি, আর্টিকেরিয়া, জ্বর এবং খিচুনি দেখা দিতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ম্যালফালান এর সাথে সহ ব্যবহার উচিত নয়।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
খুব বেশি দরকার হলে এই ওষুধটি গর্ভকালীন সময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। ন্যালিডিক্সিক এসিড অল্প পরিমাণে মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয়। এটি স্তন্যদানকালীন সময়ে দেয়া যেতে পারে ।
সরবরাহ :
ন্যালিড” ট্যাবলেট : ৬ x ১০ টি। ন্যাপিড পাউডার ফর সাসপেনশন। ৫০ মি.লি.।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ