আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Perkinil পারকিনিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Perkinil পারকিনিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
প্রোসাইক্লিডিন ৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট এবং ১০ মি.গ্রা./২ মি.লি. ইঞ্জেকশন।
নির্দেশনা :
সব ধরনের পারকিন্সন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
প্রথমে ২.৫ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার; পরবর্তীতে ৫ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার এবং মাঝে মাঝে শোবার সময় ৫ মি.গ্রা.। আই এম/আই ভি ইঞ্জেকশন: ৫-১০ মি.গ্রা. প্রয়োজনে ২০ মিনিট পরে একই মাত্রার পুনরাবৃত্তি। দৈনিক ২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত দেয়া যেতে পারে।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
শিশু এবং বয়স্কদের এটা সতর্কতার সাথে দিতে হবে। ডায়রিয়া, রক্ত সংবহনতন্ত্রের রোগ, গ্লুকোমা, ইউরিনারী রিটেনসন, যকৃত ও বৃক্কের অসুস্থতার ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
স্বাভাবিক সেবনমাত্রায় মুখ গহবরের শুদ্ধতাই একমাত্র বিরূপ প্রতিক্রিয়া। মাঝে মধ্যে চোখের মণির প্রসারণ, ঝাপসা দৃষ্টি ও পরিপাক তন্ত্রের প্রতিক্রিয়া (বমি বমি ভাব, বমি, এপিগ্যাস্ট্রিক বেদনা, কোষ্ঠকাঠিন্য) দেখা যেতে পারে। এছাড়াও এলার্জিক প্রতিক্রিয়া (যেমন ফুসকুড়ি) বা মাংসপেশীর দুর্বলতাও দেখা যেতে পারে। ওষুধের মাত্রা বেশী হলে মাথা ঝিম্ কিম্ করা এবং মানসিক ও দৃষ্টি বিভ্রম দেখা দিতে পারে ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
এন্টি-কোলেনার্জিক এমানটাডিন, কিটোকোনাজল।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থা, স্তন্যদানকারী মহিলা বা গর্ভধারণে সক্ষম মহিলাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ও লাভের চুলচেরা বিশ্লেষণের পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে।
সরবরাহ :
পারকিনিল ট্যাবলেট ১০x২০টি। পারকিনিল’ ইঞ্জেকশন : ৭টি।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ