পালস্ নিয়ে বিস্তারিত বিষয়টি কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম (The cardiovascular system ( CVS )) এর পাঠের অংশ। পালস্ ক্লাসটি “বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি (Basic Anatomy and Phisiology)” কোর্সের অংশ। এই কোর্সটি বাংলাদেশের ডিপ্লোমা স্তরের প্রতিটি মেডিকেল শিক্ষাক্রমে পড়ানো হয়।
যেমন মেডিকেল এসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুল (Medical Assistant Training School, MATS) বা ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (Diploma in Medical Faculty, DMF)। এই কোর্সটি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি (Diploma in Nursing and Midwifery) কোর্সেরও অংশ। বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষা (Medical Education in Bangladesh) ও বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের (Medical Students in Bangladesh) সহায়তা করতে আমাদের এই উদ্যোগ।
পালস্ নিয়ে বিস্তারিত
চিকিৎসা বিজ্ঞানে, নাড়ির স্পন্দন বলতে প্রশিক্ষিত আঙ্গুল দ্বারা হৃৎচক্রের সময় অনুভূত ধমনীগাত্রের চাপের তারতম্যকে বুঝায়। শরীরপৃষ্ঠে যেসব স্থানে ধমনীর সংকোচনকে অনুভব করা যায় সেখানেই নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়। যেমন ঘাড়ে (ক্যারোটিড ধমনী ), কব্জি (রেডিয়াল ধমনী ), কুঁচকিতে (ফিমোরাল ধমনী ), হাঁটুর পিছনে (পপলিটিয়াল ধমনী ), গোড়ালি সন্ধির কাছে (পোস্টেরিয়র টিবিয়াল ধমনী ), এবং পায়ে (ডর্সালিস পেডিস ধমনী )। নাড়ির স্পন্দন,(বা প্রতি মিনিটে ধমনী নাড়ির গণনা) হৃদস্পন্দন পরিমাপের সমতুল্য।
হৃদস্পন্দন শ্রবণের জন্য স্টেথোস্কোপ ব্যবহার করা হয়। তাই এক মিনিটের জন্য গণনাকৃত হৃদস্পন্দনকে সার্বিকভাবে নাড়ির স্পন্দন বলা যায়। রেডিয়াল ধমনির নাড়ির স্পন্দন সাধারণত তিনটি আঙুল ব্যবহার করে পরিমাপ করা হয়। আঙুলগুলো হলো :তর্জনী, মধ্যমা এবং অনামিকা আঙুৃল। নাড়ির স্পন্দনের অধ্যয়ন স্ফিগমোলজি নামে পরিচিত।
ক্লডিয়াস গ্যালেন হলো সর্বপ্রথম শারীরতত্ত্ববিদ যিনি নাড়ির স্পন্দন বর্ণনা করেছিলেন। নাড়ি হল প্রশিক্ষিত পর্যবেক্ষকের কাছে সিস্টোলিক রক্তচাপ নির্ধারণের সমীচীন একটি স্পর্শগ্রাহ্য পদ্ধতি। ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ স্পন্দনযোগ্য নয় এবং হৃদস্পন্দনের মধ্যে ঘটে যাওয়া স্পর্শগ্রাহ্য পদ্ধতির দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা যায় না।
বৈশিষ্ট্য
হার
বিশ্রামের সময় প্রতি মিনিটে স্বাভাবিক নাড়ির স্পন্দনের হার দেখানো হলো (বিপিএম):
নবজাতক (০-৩ মাস বয়সী) |
শিশু (৩ – ৬ মাস) |
শিশু (৬ – ১২ মাস) |
শিশু (১ – ১০ বছর) |
১০ বছরের বেশি বয়সী শিশু এবং বয়স্ক |
ভাল-প্রশিক্ষিত প্রাপ্তবয়স্ক ক্রীড়াবিদ |
---|---|---|---|---|---|
৯৯-১৪৯ | ৮৯-১১৯ | ৭৯-১১৯ | ৬৯-১২৯ | ৫৯-৯৯ | ৩৯-৫৯ |
হৃৎপিণ্ডের সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নাড়ির স্পন্দন ব্যবহার করা যেতে পারে। নাড়ির স্পন্দন কমে যাওয়া বা ব্র্যাডিকার্ডিয়া বিপজ্জনক হতে পারে। বিপজ্জনক ধীর হৃদস্পন্দনের লক্ষণের মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা, শক্তি হ্রাস এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
পালস্ নিয়ে বিস্তারিত নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুনঃ