আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Puritar পিউরিটার ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Puritar পিউরিটার ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
সোডিয়াম ডাইক্লোরোআইসোসায়ানিউরেট ১৭ মি.গ্রা. ও ৫১ মি.গ্রা এফারডিসেন্ট ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
ক্ষতিকারক জীবাণু ধ্বংস করে পানিকে আরো নিরাপদ করার এফারডিসেন্ট ট্যাবলেট। এ ছাড়াও শাক-সব্জী, ফলমূল ধোঁয়া ও দাঁত পরিষ্কারে ব্যবহৃত হয়।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
পিউরিটার” ১: খাবার পানির ক্ষেত্রে ১ লিটার পানিতে ১টি ট্যাবলেট। ফল-মূল, শাক-সব্জী ধোঁয়ার পানির ক্ষেত্রে-১ লিটার পানিতে ৩টি ট্যাবলেট। পিউরিটার ও খনবার পানির ক্ষেত্রে – ৩ লিটার পানিতে ১ টি ট্যাবলেট। ফল-মূল, শাক- সঙ্গী ধোঁয়ার পানির ক্ষেত্রে – ৩ লিটার পানিতে ৩ টি ট্যাবলেট। মারাত্মক দূষিত পানির ক্ষেত্রে ট্যাবলেটের পরিমাণ দ্বিগুণ করে দিন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে পানি ব্যবহার করুন।

সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
অন্যান্য পদার্থ বিশেষ করে, অগ্নিশিখা সৃষ্টি করতে পারে এমন পদার্থ থেকে দূরে রাখতে হবে। শুধুমাত্র ব্যবহারের পূর্বে ট্যাবলেট বের করতে হবে। অন্যান্য বিপদজনক গ্যাস (ক্লোরিন) নিঃসরণ করতে পারে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
ত্বকের সংস্পর্শে সংস্পর্শের স্থানে অস্বস্তিবোধ ও লাল হয়ে যাওয়া। চোখের সংস্পর্শে – তীব্র ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া এবং অস্বস্তিবোধ। পাকস্থলীতে গ্রহণ করলে – বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা। নিঃশ্বাসের সহিত গ্রহণ করিলে – কাশি, গলায় অস্বস্তিবোধ, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে স্বল্পতা ইত্যাদি ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট, এসিড এবং এ্যামোনিয়া যৌগ থেকে দূরে রাখতে হবে।
সরবরাহ :
পিউরিটার ১১০ x ১০ টি। পিউরিটার ৩: ৩০ টি।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ