আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Peridol পেরিডল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Peridol পেরিডল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
হ্যালোপেরিডল ৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
বয়স্কদের ক্ষেত্রে : সিজোফ্রেনিয়া, । প্যারানয়েড, ম্যানিয়া এবং হাইপোম্যানিয়া, অতিরিক্ত কর্মচঞ্চলতা এবং মানসিক ভারসাম্যহীন আত্মহননকারী এবং অরগ্যানিক ব্রেইন ড্যামেজ-এর রোগী, তীব্র মনোদৈহিক উত্তেজনায়, অদমনীয় হিক্কা, বয়স্কদের চিত্তচাঞ্চল্য এবং উত্তেজনায়।
শিশুদের ক্ষেত্রে: বাচ্চাদের স্বভাবগত ত্রুটি বিশেষত: যখন তা অতিরিক্ত কর্মচাঞ্চল্য ও আক্রমণাত্মক মনোভাব হিসেবে দেখা দেয়, বাচ্চাদের সিজোফ্রেনিয়া ।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
প্রারম্ভিক মাত্রা মৃদু উপসর্গে – ১.৫ – ৩ মি.গ্রা. দিনে ২-৩ বার। তীব্র উপসর্গে ৩ – ৫ মি.গ্রা দিনে ২-৩ বার, বয়স্করোগীদের ক্ষেত্রে ০.৫ থেকে ৪.৫ মি.গ্রা. দিনে ২-৩ বার। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি দেহ ওজনে ০.০২৫-০.০৫ মি.গ্ৰা. হিসাবে সেব্য ।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র নিস্তেজ অবস্থায় এবং পারকিনসন রোগে ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
এক্সটা পাইরামিডাল লক্ষণ, তীব্র ডিসটোনিয়া, ইপিলেপ্টিক ফিটস্, বিষণ্ণতা, ঘুম ঘুম ভাব, ইতস্তত, তন্দ্রাচ্ছন্নতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
লিথিয়াম, ডোপামিন এন্টাগনিস্ট, ইন্ডোমেথাসিন, কার্বামাজেপিন, রিফামপিসিন ।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
ব্যবহার না করা উচিত।
সরবরাহ :
পেরিডল’ ট্যাবলেট ১০ x ১০ টি।
ঔষধের প্রয়োগ প্রক্রিয়া
যে উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হোক না কেন, ঔষধ সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে দেয়া হয়ে থাকে। এগুলোকে ঔষধের রুট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশান (routes of administration) বলা হয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হল:
দেহের অভ্যন্তরে
মুখে (orally)
পায়ু ও যোনিপথে সাপোজিটরি হিসেবে (rectally and vaginally as suppository)
নিঃশ্বাসের মাধ্যমে (inhalation)
জিহ্বার নিচে (sublingually)
অনান্ত্রিক পথে (parenteral routes)
আন্তঃধমনী বোলাস (intravenous bolus)
আন্তঃধমনী ইনফিউশন (intravenous infusion)
আন্তঃপেশী (intramuscular)
সাবকিউটেনিয়াস (subcutaneous)
দেহের বাইরে
ত্বকের ওপর (topically)
আরও দেখুনঃ