মাইটোকন্ড্রিয়া ও প্লাস্টিডের পরিচিতি ও প্রকারভেদ আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। “মাইটোকন্ড্রিয়ার ও প্লাস্টিডের পরিচিতি ও প্রকারভেদ [ Introduction and types of mitochondria and plastids ]” ক্লাসটি “এইচএসসি (একাদশ দ্বাদশ) [ HSC (11-12) ]” শ্রেণীর “জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র [ Biology First Paper ]” সাবজেক্ট এর “অধ্যায় ১ঃ কোষ ও এর গঠন [ Chapter 1: Cell and its structure ]” অধ্যায়ের পাঠ।
আজকের ক্লাসে “মাইটোকন্ড্রিয়া, মাইটোকন্ড্রিয়ার রাসায়নিক গঠন, মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ, মাইটোকন্ড্রিয়ার এন্ডোসিম্বায়োন্ট, প্লাস্টিড, প্লাস্টিডের পরিচিতি ও প্রকারভেদ, লিউকোপ্লাস্ট, ক্রোমোপ্লাস্ট, ক্লোরোপ্লাস্ট” বিষয়গুলো পড়ানো হয়েছে। এইচএসসি (একাদশ দ্বাদশ) [ HSC (11-12) ]” শ্রেণীর “জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র [ Biology First Paper ]” সাবজেক্ট এর আরও ক্লাস পেতে যুক্ত থাকুন “মেডিকেল এডুকেশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা গুরুকুল [ GOLN ]” এর সাথে।
মাইটোকন্ড্রিয়া ও প্লাস্টিডের পরিচিতি ও প্রকারভেদ
মাইটোকন্ড্রিয়া
মাইটোকন্ড্রিয়া হলো দুই স্তর বিশিষ্ট আবরণ বা ঝিল্লি দ্বারা আবৃত একটি সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু । যা প্রোটিন এবং লিপিড দিয়ে তৈরি । মাইটোকন্ড্রিয়ার বাইরের আবরণটি মসৃণ কিন্তু ভেতরের আবরণটি স্থানে স্থানে ভাজ হয়ে ভেতরে দিকে ঝুলে থাকে। এ ভাঁজগুলোকে ক্রিস্টি বলা হয়। মাইটোকন্ড্রিয়ার ভেতরের অর্ধতরল দানাদার পদার্থকে ম্যাট্রিক্স বলা হয়। একটু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মাইটোকন্ড্রিয়ার নিজস্ব ডিএনএ আছে, যা সেগুলোর ম্যাট্রিক্স এ অবস্থান করে। একটি কোষে মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা কয়েক শত থেকে কয়েক হাজার পর্যন্ত হতে পারে।
কাজ
- সবাত শ্বসনের তৃতীয় পর্যায় ক্রেবস চক্র ও চতুর্থ পর্যায় ইলেক্ট্রন ট্রান্সপোর্ট চেইনের বিক্রিয়া সমূহ মাইটোকন্ড্রিয়াতে সংঘটিত হয়। এর মাধ্যমে ATP(Adenosine Triphosphate)অণু সংশ্লেষ করে যা সকল শক্তির উৎস বলে মাইটোকন্ড্রিয়াকে Powerhouse of Cell বা কোষের শক্তিঘর বলে।
- ইহা লেসিথিন এবং ফসফাটাইডাইল-ইথানলামিন নামক দুটি ফ্যাট সংশ্লেষে সহায়তা করে। ইহা ফ্যাটি অ্যাসিড বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে।
- ইহা জীবদেহে জৈবদ্যুতি (Bio luminescence)ঘটায়। অর্থাৎ মাইটোকন্ড্রিয়া জোনাকির দেহে লুসিফেরন নামক প্রোটিনকে লুসিফেরেজ নামক উৎসেচক দ্বারা জারিত করে ফসফরাসের বিয়োজন ঘটায় যা আলোক সৃষ্টি করে। এখানে হিমোগ্লোবিন এবং মায়োগ্লোবিনের হিম (Haem)অংশ সংশ্লেষিত হয়।
- কিছু পরিমাণ RNA ও DNA উৎপন্ন করতে পারে।
- প্রয়োজনে কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটিয়ে কাজে সহায়তা করে।
- প্রাণিদেহে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।
- কোষের বিভিন্ন অংশে ক্যালসিয়াম আয়নের (Ca²+)সঠিক ঘনত্ব রক্ষা।
- শুক্রাণু ও ডিম্বাণু গঠনে অংশগ্রহণ করে।
- মাইটোকন্ড্রিয়া স্মৃতিশক্তিকে প্রভাবিত করে।
- মাইটোকন্ড্রিয়া আমাদের কোষের জন্য শক্তি তৈরির সাথে সাথে এক ধরনের আয়নিত অণুর সৃষ্টি করে যাকে ফ্রী রেডিকেল বলে। তারা স্টেম সেল-এর পরিণত হওয়া এবং ভাইরাসের আক্রমণে নিরাপত্তা প্রতিক্রিয়া তৈরিতেও কাজ করে।
- রক্ত কণিকা ও হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করা।
- বিভিন্ন ধরনের পদার্থ , যেমন- Ca, K এর সক্রিয় পরিবহনে সক্ষম।
প্লাস্টিড
প্লাস্টিড’ (গ্রীক: πλαστός) হলো ঝিল্লি-আবদ্ধ অঙ্গাণু ৷ এটি উদ্ভিদ কোষে পাওয়া যায় এবং কিছু ইউক্যারিওটিক জীবেও পাওয়া যায়। এরা এন্ডোসাইম্বিয়টিক সায়ানোব্যাকটেরিয়া হিসাবে বিবেচিত হয়৷ প্লাস্টিড আর্নস্ট হেকেল আবিষ্কার করেছিলেন এবং তিনি তার নাম দিয়েছিলেন, তবে এ.এফ.ডব্লিউ শিম্পার প্রথম স্পষ্ট সংজ্ঞা দিয়েছিলেন।
কাজ
প্লাস্টিডের প্রধান কাজ খাদ্য প্রস্তুত করা, খাদ্য সঞ্চয় করা এবং উদ্ভিদ দেহকে বর্ণময় ও আকর্ষণীয় করা৷ বিভিন্ন ধরনের কীট প্রতঙ্গ কে আকৃষ্ট করে অর্থাৎ পরাগায়ণে সাহায্য করাই হলো প্লাস্টিডের কাজ। এছাড়া ক্লোরোপ্লাস্ট সবুজ রঙের হয়ে থাকে।ক্লোরোপ্লাস্টের ভিতর ক্লোরোফিল থাকে যা উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষনে সাহায্য কারে।
মাইটোকন্ড্রিয়া ও প্লাস্টিডের পরিচিতি ও প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুনঃ