আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Flurizin ফ্লুরিজিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Flurizin ফ্লুরিজিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
ফ্লুনারিজিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড। ৫.৯০ মি.গ্রা. (৫ মি.গ্রা. মুনারিজিন এর সমতুল্য) এবং ১১.৮০ মি.গ্রা. ফ্লুনারিজিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড (১০ মি.গ্রা. সুনারিজিন এর সমতুল্য) ট্যাবলেট।
নির্দেশনা:
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ফ্লুনারিজিন (ফ্লুরিজিন) নির্দেশিত
• অরাসহ (Classical) অথবা অরা ছাড়া (Common) মাইগ্রেন প্রতিরোধে
• ভ্যাস্টিবুলার ভার্টিগো এ উপসর্গীয় চিকিৎসা (ভ্যাস্টিবুলার সিস্টেমের কার্যকরী সমস্যা
•পেরিফেরাল ভাসকুলার ডিজিস্ (PVD)
• ভ্রমণজনিত অসুস্থতা
মাত্রা ও ব্যবহারবিধিঃ
মাইগ্রেন প্রতিরোধে: প্রারম্ভিক মাত্রা: ৬৫ বছরের নিম্নোধ রোগীর ক্ষেত্রে ১০ মি.গ্রা. এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে ৫ মি.গ্রা. করে প্রতি রাতে । চিকিৎসা চলাকালীন বিষণ্নতা, এক্সট্রা পিরামিডাল ও অন্য অনাকাঙ্খিত উপসর্গ দেখা নিলে প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। প্রয়োগের ২ মাসের মধ্যে কোন উন্নতি না হলে রোগীকে প্রতিক্রিয়াহীন বিবেচিত করতে হবে এবং প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।
অব্যহত চিকিৎসা: যদি রোগী সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং যদি অব্যহত চিকিৎসা প্রয়োজন হয় তবে পরপর ৫ দিন নির্ধারিত মাত্রা প্রয়োগের পর পরপর ২ দিন ওষুধ সেবন বন্ধ রাখতে হবে। যদি এ চিকিৎসা কার্যকর হয় তারপরও ৬ মাস পর এটি বন্ধ করে দেয়া উচিত এবং যদি রোগী পুনরায় আক্রান্ত হয় তখন প্রয়োগ করা উচিত।
পেরিফেরাল ভাসকুলার ডিজিস্ ১০ মি.গ্রা. করে দিনে ২ বার। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ৩০ মি.গ্রা. মাথাঘোরা এবং ভ্রমণজনিত অসুস্থতায়: ১০-২০ মি.গ্রা. প্রতিদিন (প্রাপ্ত বয়স্ক) এবং ৫ মিগ্রা. প্রতি দিন ৪০ কেজির উর্ধ্ব শিশুদের ক্ষেত্রে। মৃগীজনিত থিতুমি প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে ১৫-২০ মি.গ্রা. এবং শিশুদের ক্ষেত্রে ৫-১০ মি.গ্রা. প্রতিদিন সংযোজিত চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সতর্কতা ও যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না:
ফ্লুনারিজিন,তন্দ্রাচ্ছন্নতা তৈরি করতে পারে; যা যুগোপৎ এ্যালকোহল অথবা অন্য কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বিষণ্ণতা তৈরিকারী ওষুধ দ্বারা বৃদ্ধি পায়। রোগীকে যানবাহন চালানো অথবা অন্য কোন বিপদজনক কাজ থেকে সতর্ক থাকা উচিত। ফ্লুনারিজিন মাইগ্রেন দমন করে না। তাই মাইগ্রেন আক্রমণে এর মাত্রা বৃদ্ধি কাম্য নয়।
বিশেষত বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা বিষণ্ণতা, এক্সট্রা পিরামিডাল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অথবা পারকিনসন এর লক্ষণ বৃদ্ধি করতে পারে। ফ্লুনারিজিন এর প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতি নির্দেশিত। যে সব রোগীদের পারকিনসন রোগের পূর্ব লক্ষণ এবং বিষণ্ণতা জনিত অসুস্থতা অথ বা অন্য এক্সট্রা পিরামিডাল অসুস্থতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
বিষণ্ণতা এবং কান্তি, ওজন বৃদ্ধি এবং /অথবা মুখের রুচি বৃদ্ধি পেতে পারে। ফ্লুনারিজিন চিকিৎসায় নিম্নলিখিত ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়েছে: বিষণ্নতা (মহিলা রোগীরা যাদের পূর্ব বিষণ্ণতা রোগ আছে, তারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ), ব্রাডিকাইনেসিয়া, রিজিডিটি, একাধিসিয়া, ওরোফেসিয়াল,
ডিসকাইনেসিয়া, ট্রেমর এর মত এক্সট্রা পিরামিডিয়াল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যাতে বয়স্ক রোগীরা অধিক ঝুঁকির সন্মূখীন। অনিয়মিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বুক জ্বালা, বমি বমিভাব, ক্ষুধামন্দা, দৃশ্চিন্তা, শুষ্কমুখ পেশীতে ব্যথা, ত্বকে লালচে ভাব, গ্যালাকটোরিয়া লক্ষণীয়।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া
যে সব জন্ম বিরতিকরণ ওষুধ সেবন করছেন তাদের ক্ষেত্রে ফ্লুনারিজিন চিকিৎসার প্রথম ২ মাসের ভিতর গ্যালাকটোরিয়া দেখা দিতে পারে। যকৃতের উৎসেচক বৃদ্ধিকারী ওষুধ যেমন- কার্বামাজেপিন এবং ফিনাইটয়েন ফ্লুনারিজিন এর বিপাক বৃদ্ধি করতে পারে। তাই এক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাত্রা নির্দেশিত।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ফ্লুনারিজিন এর ব্যবহার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
সরবরাহ:
ফুরিজিন ৫ ট্যাবলেট: প্রতি বাক্সে আছে ৫০ ট্যাবলেট । ফ্লুরিজিন’ ১০ ট্যাবলেট: প্রতি বাক্সে আছে ৫০ ট্যাবলেট ।
আরও দেখুনঃ