আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Benzapen বেনজাপেন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Benzapen বেনজাপেন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
বেনজাথিন পেনিসিলিন ১২,০০,০০০ ইউনিট/ভায়াল ।
নির্দেশনা :
পেনিসিলিন সংবেদনশীল সংক্রমণে, মধ্যকর্ণের তীব্র প্রদাহে, সিফিলিস, ডিপথেরিয়া বাহকের চিকিৎসায় এবং বাত জ্বর ও স্ট্রেপটোকক্কাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে নিয়মিত সতর্কতামূলক পূর্ব ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা যায় ।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
সংক্রমনের চিকিৎসায় : ০.৩ থেকে ১.২ মিলিয়ন ইউনিট সর্বোচ্চ ২.৪ মিলিয়ন ইউনিট, প্রত্যেক ৫ থেকে ৭ দিন পর পর। বাতজ্বর এর প্রতিরোধে : ১.২ মিলিয়ন ইউনিট প্রত্যেক ৩ সপ্তাহ পর পর।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
পেনিসিলিনের প্রতি অতি সংবেদনশীলতার ইতিহাস থাকলে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যাদের মায়েদের পেনিসিলিনের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা আছে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
পেনিসিলিনের বিষক্রিয়ার মাত্রা খুবই কম। কিন্তু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে এলার্জিক বিক্রিয়া ঘটতে দেখা যায়। তীব্র হুমকি হতে পারে এরূপ বিক্রিয়া খুব কম কিন্তু মাঝে মাঝে ঘটে ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
অন্য ওষুধের সাথে কোন বড় রকমের প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না ।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
চিকিৎসকের যৌক্তিক পরামর্শ ছাড়া গর্ভকালীন অবস্থায় দেয়া যায় না। স্তন্যদানকারী মায়েদের স্তন্যদান বন্ধ রাখা উচিত।
সরবরাহ :
বেনজাপেনও ইঞ্জেকশন : ৫ টি (একটি ভায়াল + ৫ মি.লি. ওয়াটার ফর ইঞ্জেকশন বিপি)।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ