আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Brofex ব্রোফেক্স ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Brofex ব্রোফেক্স ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ডেক্সট্রোমেথরফ্যান ১০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. সিরাপ ।
নির্দেশনা :
শুকনো কাশি, এবং তীব্র কাশি যা স্বাভাবিক কার্যাবলী অথবা ঘুমের বিঘ্ন ঘটায়।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে: দিনে ১৫-৩০ মি.গ্রা. ৩ থেকে ৪ বার। ৬-১২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে : ৬.৭৫ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার পর্যন্ত । ৬ বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রে: ২.৫-৫ মি.গ্রা. দিনে ৪ বার পর্যন্ত ।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
মনোঅ্যামাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটর-এর সাথে ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
কদাচিৎ দেখা যায়। কিন্তু মাঝে মাঝে বমি বমি ভাব এবং মাথা ঝিম ঝিম করতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের ফলে উত্তেজনা বিভ্রান্তি এবং শ্বাসতন্ত্রের কার্যকারিতার দেখা দিতে পারে ।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ফিন্যালজিন এবং ডেক্সট্রোমেথরফ্যান একই সঙ্গে গ্রহণকারীদের মারাত্নক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভকালীন প্রথম তিন মাস এ ওষুধ ব্যবহার করা অনুচিত । স্তন্যদানকারী মায়েদের এ ওষুধ ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে ।
সরবরাহ :
ব্রোফেক্স M সিরাপ : ১০০ মি.লি.।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ