Site icon Medical Gurukul [ মেডিকেল গুরুকুল ] GOLN

Valoate ভ্যালোয়েট ওষুধের যাবতীয় তথ্য

Valoate ভ্যালোয়েট ওষুধের যাবতীয় তথ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Valoate ভ্যালোয়েট ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।

Valoate ভ্যালোয়েট ওষুধের যাবতীয় তথ্য

উপাদান:

প্রতি ৫ মি.লি. সিরাপে আছে সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট বিপি ২০০ মি.গ্রা. হিসেবে।

প্রতিটি কন্ট্রোল রিলিজ ট্যাবলেটে আছে সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট বিপি+ভ্যালপ্রোয়িক এসিড বিপি যা ২০০ মি.গ্রা. সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট এর সমতুল্য। প্রতিটি কন্ট্রোল রিলিজ ট্যাবলেটে আছে সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট বিপি+ভ্যালপ্রোয়িক এসিড বিপি যা ৩০০ মি.গ্রা. সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট এর সমতুল্য। প্রতিটি কন্ট্রোল রিলিজ ট্যাবলেটে আছে সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট বিপি+ভ্যালপ্রোয়িক এসিড বিপি যা ৫০০ মি.গ্রা. সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট এর সমতুল্য।

 

 

নির্দেশনা:

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ভ্যালোয়েট নির্দেশিত মৃগী: সকল প্রকার মৃগী রোগ যেমন- Absence seizures, myoclonic seizures, Tonic- Clonic seizures, Atonic, Mixed, Simple or generalized, secondary generalized seizures etc. ম্যানিয়া (Mania): বাইপোলার ডিসঅর্ডার এর চিকিৎসায় নির্দেশিত।

অন্যান্য:

জ্বরজনিত খিঁচুনি এবং মাইগ্রেন প্রতিরোধে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

মাত্রা ও প্রয়োগ বিধি:

প্রাপ্ত বয়স্ক: প্রারম্ভিক মাত্রা: ৬০০ মি.গ্রা. করে প্রতিদিন খাবার পর,দুইটি বিভক্ত মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসা শুরু করার তিন দিন পর থেকে প্রতিদিন ২০০ মি.গ্রা. করে বৃদ্ধি করা যেতে পারে। সর্বোচ্চ সহনিয় মাত্রা দৈনিক ২.৫ গ্রাম।

অব্যাহত মাত্রা: সাধারণত দৈনিক ১-২ মি.গ্রা. (২০- ৩০ মি.গ্রা./কেজি) শিশু (২০ কেজির নিচে): প্রারম্ভিক প্রতি কেজিতে ২০ মি.গ্রা. করে বিভক্ত মাত্রায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। প্রচণ্ড অসুস্থতার ক্ষেত্রে প্লাজমা মাত্রা লক্ষ্য রেখে প্রয়োগ মাত্রা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

শিশু (২০ কেজির উপরে): প্রারম্ভিক মাত্রা: প্রত্যহ ৪০০ মি.গ্রা.। পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মাত্রা প্রতিদিন ২০- ৩০ মি.গ্রা./কেজি করে বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

প্রতিনির্দেশনা:

সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট এর প্রতি অতি প্রতিক্রিয়াশীল রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত। যকৃতের অকার্যকারিতা, পরফাইরিয়া এবং ইউরিয়া সাইকেল এর গন্ডগোলে সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট প্রতি নির্দেশিত।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সতর্কতা:

প্রয়োগের পর প্রথম ছয় মাস যকৃতের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা উচিত। অস্ত্রোপচারের পূর্বে রক্ত পরীক্ষা করে নেয়া আবশ্যক। অকার্যকরী বৃত্ত, গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা আবশ্যক। ভ্যালপ্রোয়েট প্রধানত বৃক্ক দিয়ে নির্গত হয়। কিয়দাংশ নির্গত হয় কিটোন বডি হিসেবে যা কিটোন বড়ি পরীক্ষায় ভুল বিবরণ দিতে পারে। সোডিয়াম ভ্যালপ্রোমোট এর সেবন হঠাৎ বন্ধ করে দেয়া উচিত নয়।

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া:

পাকস্থলীর প্রদাহ, বমিবমিভাব, এটাক্সিয়া ও খিঁচুনী, হাইপারএ্যামোনেমিয়া, ক্ষুধাবৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি, চুল পড়ে যাওয়া, ফোলা, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া এবং অনুচক্রিকার জমাট বাধতে বাধা, যকৃতের সমস্যা, র্যাশ, ঘুম বৃদ্ধি ও আলস্যতা, বিভ্রান্তি ও বেশি সতর্ক, মাঝে মাঝে অগ্নাশয়ে সমস্যা, লিউকোপেনিয়া,

প্যানসাইটোপেনিয়া, লাল রক্ত কণিকার সমস্যা, ফিব্রিনোজেন কমে যাওয়া, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, এ্যামেনোরিয়া, গাইনিকোমাস্টিয়া, নেক্সোলাইসিস, শ্রবণ শক্তি হ্রাস, ফ্যানকোলিস সিনড্রোম, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, স্টিভেনস-জনসন সিনড্রোম ও ভাসকুলাইটিস।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:

ফেনাবারবিটাল, ফিনাইটয়েন, ওয়ারফারিন, এসপিরিন ইত্যাদি এর বিপাক সোডিয়াম ভ্যালপ্রোমেট দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে ।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে:

সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট অমরা অতিক্রম করে, এ কারণে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়োট প্রদান করলে তা এনেনসেফালি এবং স্পাইনা বাইফিডিয়া এর মত নিউরাল টিউৰ সমস্যা তৈরী করতে পারে। সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হতে পারে। তাই স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে সোডিয়াম ভ্যালপ্রোয়েট শিশুর ক্ষতির কারণ হতে পারে।

 

 

সরবরাহ:

ভ্যালোয়েট সিরাপ : প্রতি বোতলে আছে ১০০ মি.লি. সিরাপ।

ভ্যালোয়েট” সিআর ২০০ ট্যাবলেট : প্রতি বাক্সে আছে ৫০ ট্যাবলেট।

ভ্যালোয়েট” সিআর ৩০০ ট্যাবলেট : প্রতি বাক্সে আছে ৫০ ট্যাবলেট।

ভ্যালোয়েট’ সিআর ৫০০ ট্যাবলেট: প্রতি বাক্সে আছে ৩০ ট্যাবলেট।

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version