আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Mymix মাইমিক্স ওষুধের যাবতীয় তথ্য । বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Mymix মাইমিক্স ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
প্রতি গ্রাম মাইমিক্স-এ আছে আয়রণ ১২.৫০ মি.গ্রা. (ফেরাস কিউমারেট হিসাবে), জিঙ্ক ৫ মি.গ্রা. (জিঙ্ক গ্লুকোনেট ইউএসপি হিসাবে), ভিটামিন এ ০.৩০ মি.গ্রা. (ভিটামিন এ অ্যাসিটেট ইউএসপি হিসাবে) ফলিক অ্যাসিড ইউএসপি ০.১৬ মি.গ্রা. এবং ভিটামিন সি ৩০ মি.গ্রা. (অ্যাসকরবিক এসিড ইউএসপি হিসাবে)। মাইমিক্স এ আছে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস যা পাউডার রূপে বিদ্যমান।
নির্দেশনা:
আয়রণ, ফলিক এসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক ঘাটতি প্রতিরোধ এবং চিকিৎসায় নির্দেশিত। মাইমিক্স মূলত ৬-২৪ মাস বয়সী শিশুদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে যদিও বড় বাচ্চা, কিশোর, গর্ভবর্তী এবং দুগ্ধদানকারী মায়েরা উপকৃত হয়ে থাকে।
মাত্রা ও ব্যবহারবিধি:
মুখে সেবনের জন্য ১ আম পরিমান পাউডার ভাত, গম বা ভূট্টা জাতীয় খাবারের সাথে মিশিয়ে শিশুকে দিতে হবে। ১ প্যাকেট (১ গ্রাম পাউডার) মাইমিক্স প্রতিদিন ২-৩ মাস ধরে বাচ্চাদের দেয়া উচিত ।
সতর্কতা ও যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না
দীর্ঘদিন যাবৎ যকৃত সমস্যায় ভূগতে থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আয়রণের শোষণ বেশী হয় যা আয়রণ ওভারলোড করতে পারে । ক্রনিক যকৃত অথবা অগ্ন্যাশয় রোগে ভুগতে থাকা ব্যক্তিদের ইহা গ্রহন করা উচিত নয়।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া:
বাচ্চাদের মন কালো হয়ে যাওয়া অন্যতম। মৃদু ডায়রিয়া ছাড়া উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।
সরবরাহ:
মাইমিক্স’: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি প্যাকেট।
ঔষধের প্রয়োগ প্রক্রিয়া
যে উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হোক না কেন, ঔষধ সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে দেয়া হয়ে থাকে। এগুলোকে ঔষধের রুট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশান (routes of administration) বলা হয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হল:
দেহের অভ্যন্তরে
মুখে (orally)
পায়ু ও যোনিপথে সাপোজিটরি হিসেবে (rectally and vaginally as suppository)
নিঃশ্বাসের মাধ্যমে (inhalation)
জিহ্বার নিচে (sublingually)
অনান্ত্রিক পথে (parenteral routes)
আন্তঃধমনী বোলাস (intravenous bolus)
আন্তঃধমনী ইনফিউশন (intravenous infusion)
আন্তঃপেশী (intramuscular)
সাবকিউটেনিয়াস (subcutaneous)
দেহের বাইরে
ত্বকের ওপর (topically)
আরও দেখুনঃ