আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Miclofenac মাইল্কোফেনাক ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Miclofenac মাইল্কোফেনাক ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
(ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ৫০ মি.গ্রা. ও মিসোপ্রোসটল ২০০ মাইক্রোগ্রাম) /ট্যাবলেট এবং (ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম ৭৫ মি.গ্রা. ও মিসোপ্রোসটল ২০০ মাইক্রোগ্রাম) /ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
যে সব রোগীর পাকস্থলী ও অস্ত্রে ব্যথার ওষুধ দ্বারা আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে তাদের ক্ষেত্রে অস্টিওআথ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আথ এইিটিসের ব্যথা নিরাময়ে নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
অস্টিওআথ্রাইটিস। ১টি করে মাইক্লোফেনাক” ৫০ ট্যাবলেট দিনে ৩ বার খেতে হবে । যে সব রোগী এই মাত্রা সহ্য করতে পারবেন না তাদের ক্ষেত্রে মাত্রা হলো ১টি করে মাইক্লোফেনাক ৫০ অথবা মাইক্লোফেনাক” ৭৫ ট্যাবলেট দিনে ২ বার।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
যে সব রোগী ডাইক্লোফেনাক কিংবা মিসোপ্রোসটলের প্রতি অতি সংবেদনশীল তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। এসপিরিন কিংবা অন্যান্য প্রদাহ নাশক ব্যবহারের পরে যাদের হাঁপানী, আর্টিকারিয়া কিংবা অন্য কোন এলার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এবং পরিপাকতন্ত্রের অন্যান্য উপসর্গসমূহ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
এসপিরিন, ডিগক্সিন উচ্চ রক্তচাপরোধী ওষুধসমূহ, ওয়ারফারিন, মুখে সেব্য ডায়াবেটিসের ওষুধসমূহ, মেথোট্রিক্সেট, সাইক্লোস্পোরিন, লিথিয়াম, এন্টাসিড, মূত্রবর্ধক ইত্যাদি ।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
ব্যবহার করা যাবে না।
সরবরাহ :
মাইক্লোফেনাক” ৫০ ট্যাবলেট ৩ x ১০ টি। মাইক্লোফেনাক”৭৫ ট্যাবলেট : ৩ x ১০ টি।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ