রাইবোজোম এর ধারণা আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়। “রাইবোজোম [ Ribosomes ]” ক্লাসটি “এইচএসসি (একাদশ দ্বাদশ) [ HSC (11-12) ]” শ্রেণীর “জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র [ Biology First Paper ]” সাবজেক্ট এর “অধ্যায় ১ঃ কোষ ও এর গঠন [ Chapter 1: Cell and its structure ]” অধ্যায়ের পাঠ। আজকের ক্লাসে “রাইবোজোম কী?, রাইবোজোম এর আবিষ্কারক, রাইবোজোম এর প্রকারভেদ, রাইবোজোম এর আকৃতি ও ভৌত গঠন, রাইবোজোম এর রাসায়নিক গঠন, রাইবোজোম এর উৎপত্তি কাজ” বিষয়গুলো পড়ানো হয়েছে।
এইচএসসি (একাদশ দ্বাদশ) [ HSC (11-12) ]” শ্রেণীর “জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র [ Biology First Paper ]” সাবজেক্ট এর আরও ক্লাস পেতে যুক্ত থাকুন “মেডিকেল এডুকেশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা গুরুকুল [ GOLN ]” এর সাথে।
রাইবোজোম এর ধারণা
রাইবোজোম , যাকে ‘প্যালাডে দানা’ ও বলা হয় (আবিষ্কারক জর্জ প্যালাডের নামানুসারে ও দানাদার গঠনের কারণে) এক ধরনের ম্যাক্রোমোলার অঙ্গাণু যা দেহের সকল কোষেই পাওয়া যায়। এটি মূলত জৈবিক প্রোটিন সংশ্লেষণের (মেসেঞ্জার আরএনএ বা বার্তাবহ আরএনএ থেকে প্রোটিন তৈরির প্রক্রিয়া) কাজ করে থাকে।
রাইবোজোম পলিপেপটাইড শৃঙ্খল গঠন করতে বার্তাবহ আরএনএ এর কোডন অনুসারে অ্যামিনো অ্যাসিডগুলোর সংযোগ ঘটায়। রাইবোজোম দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত। এরা ছোট ও বড় রাইবোজোমাল সাবইউনিট নামে পরিচিত। প্রতিটি সাবইউনিট এক বা একাধিক রাইবোজোমাল আরএনএ ও রাইবোজোমাল প্রোটিন দিয়ে তৈরি। রাইবোজোম এবং এর সহযোগী অঙ্গাণু সমূহকে ট্রান্সলেশনাল আ্যাপারেটাস বা প্রোটিন তৈরির যন্ত্র নামেও ডাকা হয়।
১৯৫৪ সালে আলবার্ট ক্লড নামক একজন বিজ্ঞানী যকৃত কোষের সাইটোপ্লাজম কে সেন্ট্রিফিউজ করে আর.এন.এ. সমৃদ্ধ বহু ক্ষুদ্রকণা পৃথক করেন এবং এর নাম দেন মাইক্রোসোম। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে রোমানিয়ান-আমেরিকান কোষ জীববিজ্ঞানী জর্জ এমিল প্যালাডে, একটি ইলেক্ট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে ঘন কণা বা দানা হিসেবে রাইবোসোমগুলি প্রথম দেখতে পান। “রাইবোসোম” শব্দটি ১৯৫৮ সালের শেষের দিকে বিজ্ঞানী হাগুয়েনাউ প্রস্তাব করেছিলেন:
সিম্পোজিয়াম চলাকালীন একটি অসুবিধা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কিছু অংশগ্রহণকারীদের কাছে, “মাইক্রোসোম” বলতে অন্যান্য প্রোটিন এবং লিপিড উপাদান দ্বারা দূষিত মাইক্রোজোম ভগ্নাংশের রাইবোনিউক্লিওপ্রোটিন কণাকে বোঝায়; অন্যদের কাছে, মাইক্রোসোমগুলি কণা দ্বারা দূষিত প্রোটিন এবং লিপিড নিয়ে গঠিত। শব্দগুচ্ছ “মাইক্রোসোমাল কণা” পর্যাপ্ত বলে মনে হয় না এবং “মাইক্রোসোম ভগ্নাংশের রাইবোনিউক্লিওপ্রোটিন কণা” খুবই বিশ্রী।
বৈঠকের সময়, “রাইবোসোম” শব্দটি প্রস্তাবিত হয়েছিল, যেটি খুব সুন্দর নাম এবং শুনতেও ভালো শোনায়। বর্তমান বিভ্রান্তি দূর হবে যদি ৩৫ থেকে ১০০এস পর্যন্ত আকারে রাইবোনিউক্লিওপ্রোটিন কণা নির্ধারণের জন্য “রাইবোসোম” নামটি গ্রহণ করা হয়।
অ্যালবার্ট ক্লদ, ক্রিশ্চিয়ান দ্য দুবে এবং জর্জ এমিল প্যালাডে ১৯৭৪ সালে রাইবোসোম আবিষ্কারের জন্য যৌথভাবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। রাইবোসোমের বিশদ গঠন ও প্রক্রিয়া নির্ধারণের জন্য ২০০৯ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় ভেঙ্কটরামন রামকৃষ্ণান, টমাস এ. স্টিটজ এবং অ্যাডা ই. ইয়োনাথকে।
রাইবোজোম এর ধারণা নিয়ে বিস্তারিত :
আরও দেখুনঃ