Site icon Medical Gurukul [ মেডিকেল গুরুকুল ] GOLN

শর্করা, আমিষ ও স্নেহ | বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি

শর্করা, আমিষ ও স্নেহ আজকের আলোচনা বিষয় |Carbohydrates, proteins, and fats supply 90% of the dry weight of the diet and 100% of its energy. All three provide energy, but the amount of energy in 1 gram differs 4 calories in a gram of carbohydrate or protein. 9 calories in a gram of fat.কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট [ Carbohydrate, Protein & Fat ] শর্করা আমিষ স্নেহ ক্লাসটি বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি (Basic Anatomy and Physiology) কোর্সের অংশ |

বেসিক এনাটমি এন্ড ফিজিওলজি (Basic Anatomy and Physiology) কোর্সের প্রায় সকল ক্লাস “গুরুকুল মেডিকেল এডুকেশন (Gurukul Medical Education)” চ্যানেলে রাখা হয়েছে, বাংলাদেশের “স্বাস্থ্য শিক্ষা (Medical Education)” খাতের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য।

 

শর্করা, আমিষ ও স্নেহ

 

শর্করা

শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট (ইংরেজি: Carbohydrate) হল এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ যার প্রতিটি অণুতে কার্বনের (C) সাথে হাইড্রোজেন (H) এবং অক্সিজেন (O) থাকে, যেখানে হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে অক্সিজেন পরমাণুর অনুপাত হয় ২:১ (জলের অণুর মতই)। সরল কথায় এটির স্থূল সংকেত হল Cm(H2O)n, যেখানে m এর মান এবং n এর মান ভিন্ন হতে পারে এবং n হল ৩ বা তদূর্ধ্ব সংখ্যা।। কিছু ব্যতিক্রমও অবশ্য আছে, যেমন: ডিঅক্সিরাইবোজ (এটি ডিএনএ তে চিনি হিসেবে থাকে) এর স্থুল সংকেত হল C5H10O4

একটু বৈজ্ঞানিক ভাবে বললে, শর্করা হল আসলে ‘Hydrates of Carbon’ কিংবা ‘Polyhydroxyaldehyde’ (পলিহাইড্রোক্সিঅ্যালডিহাইড) বা ‘Polyhydroxyketon’ (পলিহাইড্রোক্সিকিটোন)। রসায়নের ভাষায়, যে সকল পলিহাইড্রোক্সিঅ্যালডিহাইড বা পলিহাইড্রোক্সিকিটোন বা জৈব যৌগ অম্লীয় আর্দ্রবিশ্লেষণের ফলে পলিহাইড্রোক্সিঅ্যালডিহাইড বা পলিহাইড্রোক্সিকিটোন উৎপন্ন করে তাদেরকে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা বলে।

 

 

আমিষ

আমিষ মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান। এটি দেহকলার গাঠনিক উপাদানগুলোর একটি এবং জ্বালানির উৎস হিসেবেও কাজ করতে পারে। জ্বালানি হিসেবে আমিষ শর্করার সমপরিমাণ শক্তি ঘনত্ব প্রদান করে: প্রতি গ্রামে ৪ কিলোক্যালরি (১৭ কিলোজুল)। এর বিপরীতে স্নেহপদার্থ বা চর্বি প্রতি গ্রামে ৯ কিলোক্যালরি বা ৩৭ কিলোজুল শক্তি প্রদান করে। পুষ্টিগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমিষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ও সংজ্ঞাসূচক বৈশিষ্ট্য হল এর ভেতরে অ্যামিনো অ্যাসিডসমূহের সংযুক্তি।

আণবিক জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে আমিষ বা প্রোটিন হল পেপটাইড বন্ধনসমূহ দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত অ্যামিনো অ্যাসিডের পলিমার শৃঙ্খল। মানব পরিপাকের সময় পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ও প্রোটিয়েজ নামক উৎসেচকের ক্রিয়ার ফলে আমিষ অণুগুলো ভেঙে অনেকগুলো ক্ষুদ্রতর পলিপেপটাইড শৃঙ্খলে পরিণত হয়। মানবদেহ অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো জৈবসংশ্লেষ করতে পারে না, তাই খাদ্য হিসেবে গৃহীত আমিষে অবস্থিত এই অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো শোষণ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

স্নেহ

স্নেহ পদার্থ (ইংরেজি: Fat) বলতে সেই সমস্ত যৌগের শ্রেণীকে বোঝায় যারা সাধারণত জৈব দ্রাবকে দ্রবণীয় কিন্তু জলে অদ্রবণীয়। রাসায়নিক গঠন বিবেচনা করলে, স্নেহ পদার্থ হল গ্লিসারল ও ফ্যাটি অ্যাসিডসমূহের ট্রাই-এস্টার। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় স্নেহ পদার্থ আণবিক কাঠামো ও উপাদানের উপর নির্ভর করে কঠিন বা তরল আকারে থাকতে পারে।

যেসমস্ত স্নেহ পদার্থ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকে, তাদেরকে “তেল” বলা হয়। আর যেগুলি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থায় থাকে সেগুলিকে চর্বি (fat) বলা হয়। আর লিপিড বলতে উভয়কেই বোঝায়। উল্লেখ্য, তেল বলতে আরও সাধারণভাবে জলের সাথে মিশে না এবং তৈলাক্ত অনুভূত হয়, এরকম যেকোন তরলকেই বোঝানো হতে পারে, যেমন – পেট্রোলিয়াম, হিটিং অয়েল, ইত্যাদি।

স্নেহ পদার্থ আসলে লিপিড জাতীয় পদার্থের একটি শ্রেণী। অন্য লিপিডগুলির সাথে স্নেহ পদার্থের রাসায়নিক গঠন ও ভৌত ধর্মে পার্থক্য আছে। লিপিড অণু জীবনের আণবিক কাঠামো ও বিপাক প্রক্রিয়ার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এগুলি পরভোজী জীবের (যাদের মধ্যে মানুষও অন্তর্গত) খাদ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

মানুষের খাওয়ার যোগ্য স্নেহ পদার্থের মধ্যে আছে কৃত্রিম মাখন, মাখন, ননী ও প্রাণীজ চর্বি। স্নেহ পদার্থ খাওয়ার পর এগুলি শরীরের ভেতরে ভেঙে লাইপেজে পরিণত হয়।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

শর্করা, আমিষ ও স্নেহ নিয়ে বিস্তারিত :

 

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version