আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Ciprocin Eye Ear Drops সিপ্রোসিন চোখ কানের ড্রপস্ ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Ciprocin Eye Ear Drops সিপ্রোসিন চোখ কানের ড্রপস্ ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
সিপ্রোফ্লক্সাসিন ০.৩% চোখ/কানের ড্রপস্ ।
নির্দেশনা :
কর্ণিয়ার আলসার, কনজাংটিভার প্রদাহ,ওটাইটিস এক্সটারনা, একিউট ওটাইটিস মিডিয়া ।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
ব্যাকটেরিয়া জনিত কনজাংটিভার প্রদাহ স্বাভাবিক মাত্রা হলো প্রথম ২ দিন ১-২ ফোঁটা করে প্রতি ২ ঘন্টা পর পর কনজাংটিভার থলিতে প্রয়োগ করতে হবে এবং পরবর্তী : দিন ১-২ ফোঁটা করে প্রতি ৪ ঘন্টা পর পর প্রয়োগ করতে হবে।
কানে প্রয়োগ : সকল ব্যাকটেরিয়া জনিত কানের ক্ষত চিকিৎসায় ২-৩ ড্রপস্ ওষুধ দিনে ২-৩ ঘন্টা পর পর আক্রান্ত কানে প্রয়োগ করতে হবে, সংক্রমণের উন্নতির সাথে সাথে মাত্রা কমাতে হবে। কমপক্ষে ৭ দিন চিকিৎসা চলবে।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
এর যে কোন উপাদানের প্রতি সংবেদনশীল রোগীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ফানজিসহ অন্যান্য যে সমস্ত জীবাণুর বিরুদ্ধে সিপ্রোফ্লক্সাসিন কার্যকর নয় তাদের বিস্তার ঘটতে পারে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি অনুভূতি, চুলকানি, কনজাংটিভায় রক্তের আধিক্য, বহিঃস্থ কোন কিছু দ্বারা আক্রান্ত হবার অনুভূতি ইত্যাদি ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
চোখে প্রযোজ্য সিপ্রোফ্লক্সাসিনের অন্যান্য ওষুধের সাথে কোন নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত গবেষণা করে দেখা হয়নি। বাহ্যিকভাবে প্রযোজ্য সিপ্রোফ্লক্সাসিন মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কি না তা এখনও জানা যায়নি।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
ঝুঁকির কারণে অপরিহার্য এরূপ মনে না হলে গর্ভাবস্থায় প্রয়োগ করা উচিত নয়।
সরবরাহ :
সিপ্রোসিন ০.৩% চোখ/কানের ড্রপস্ : ৫ মি.লি. ।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ