আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Hepavir হেপাভির ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Hepavir হেপাভির ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ল্যামিভুডিন ১০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
ক্রনিক হেপাটাইটিস বি-এর চিকিৎসায় যেখানে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের রেপিকেশনের প্রমাণ রয়েছে এবং একটিভ যকৃতের প্রদাহের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
১০০ মি.গ্রা. দিনে ১ বার। সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। এর কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতায় ব্যবহার করা যাবে না।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
ল্যাকটিক এসিডোসিস এবং লিভারের আকার বৃদ্ধি পেতে পারে এবং স্টিয়াটোসিস হতে পারে । চিকিৎসা পরবর্তী হেপাটাইটিস বি এর অবনতি, অগ্নাশয়ের প্রদাহ এবং ভাইরাল মিউটেন্ট তৈরী হয়ে ওষুধের কার্যকারীতা হ্রাস পেতে পারে।
ম্যাজ ম্যাজ ভাব, ক্লান্তি, জ্বর, নাক-কান-গলার ইনফেকশন, গলায় ব্যথা, বমি ভাব, বমি, পেটে অস্বস্তি, ব্যথা, ডায়রিয়া, মাংসপেশীর ব্যথা, অস্থিসন্ধির ব্যথা, মাথা ব্যথা, ত্বকে লালচে দাগ ইত্যাদি হতে পারে ।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
ট্রাইমিথোপ্রিম এবং সালফামেথোক্সোজল রকে ল্যামিভূডিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় যদি সম্ভাব্য উপকার সম্ভাব্য ক্ষতির চেয়ে বেশী মনে হয়, তখনই ব্যবহার করা যাবে। ল্যামিভুডিন গ্রহণকালে মাকে স্তন্যদান থেকে বিরত থাকা উচিত।
সরবরাহ :
হেপাভির” : ৫ × ৪ টি ট্যাবলেট ।
ঔষধের প্রয়োগ প্রক্রিয়া
যে উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হোক না কেন, ঔষধ সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে দেয়া হয়ে থাকে। এগুলোকে ঔষধের রুট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশান (routes of administration) বলা হয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হল:
দেহের অভ্যন্তরে
মুখে (orally)
পায়ু ও যোনিপথে সাপোজিটরি হিসেবে (rectally and vaginally as suppository)
নিঃশ্বাসের মাধ্যমে (inhalation)
জিহ্বার নিচে (sublingually)
অনান্ত্রিক পথে (parenteral routes)
আন্তঃধমনী বোলাস (intravenous bolus)
আন্তঃধমনী ইনফিউশন (intravenous infusion)
আন্তঃপেশী (intramuscular)
সাবকিউটেনিয়াস (subcutaneous)
দেহের বাইরে
ত্বকের ওপর (topically)
আরও দেখুনঃ