আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Hemorif হেমোরিফ ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Hemorif হেমোরিফ ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
মাইক্রোনাইজড ডায়োসমিন ৪৫০ মি.গ্রা. এবং হেসপেরিডিন ৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা :
হঠাৎ সংঘটিত হেমোরয়েড রোগ, দীর্ঘকাল ব্যাপী হেমোরয়েড রোগ, পায়ের শিরার গাঠনিক ও কার্যকারিতার সমস্যা, পা ভারী মনে হওয়া, ব্যথা, রাত্রিকালীন সংকোচনজনিত ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণসমূহ দেখা যায়।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
হঠাৎ সংঘটিত হেমোরয়েড রোগের ক্ষেত্রে: ৩টি করে ট্যাবলেট, দিনে ২ বার প্রথম ৪ দিন। অতঃপর ২টি করে ট্যাবলেট দিনে ২ বার ৩ দিন। দীর্ঘকাল ব্যাপী হেমোরয়েড রোগের ক্ষেত্রে ১ টি করে ট্যাবলেট, দিনে ২ বার।
দীর্ঘকালীন শিরার সমস্যা : ১টি করে ট্যাবলেট, দিনে ২ বার – প্রথম ৭ দিন। রোগের তীব্রতার উপর নির্ভর করে চিকিৎসার মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
পাকস্থলীর অস্বস্তি, বমি ভাব এবং ক্ষুধামন্দা।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভবর্তী মায়েদের কোন ক্ষতিকর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন সময় বুকের দুধ খাওয়ানো নিষেধ।
সরবরাহ :
হেমোরিফ” : ৩ x ১০ টি।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ