Bisocor বিসোকর ওষুধের যাবতীয় তথ্য

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Bisocor বিসোকর ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।

Bisocor বিসোকর ওষুধের যাবতীয় তথ্য

উপাদান:

বিসোপ্রলল ফিউমারেট ইউএসপি। ২.৫ মি.গ্রা., ৫ মি.গ্রা. এবং ১০ মি.গ্রা. ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেট।

নির্দেশনা:

বিসোকর উচ্চরক্তচাপ ও এনজাইনা প্রতিরোধে ব্যবহার্য। ইহা একক অথবা কম্বিনেশন হিসেবে অন্য উচ্চরক্তচাপ বিরোধী ওষুধের সাথে ব্যবহার করা যায়।

 

Bisocor বিসোকর ওষুধের যাবতীয় তথ্য

 

মাত্রা ও ব্যবহারবিধিঃ

রোগীর প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বিসোপ্রলল (বিসোকর”) এর মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। সাধারণত শুরুতে বিসোপ্রলল ৫ মি.গ্রা. (বিসোকর ৫) দিনে একবার ব্যবহার্য। কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে বিসোগুলল ২.৫ মি.গ্রা. (বিসোকর ২.৫) দিয়ে শুরু করা যথাযথ।

যাদের ক্ষেত্রে বিসোগুলল ৫ মি.গ্ৰা. (বিসোকর® ৫) দিয়ে যথাযথ ফল পাওয়া যায় না, তাদেরকে মাত্রা বাড়িয়ে দিনে বিসোগুলল ১০ মি.গ্ৰা. (বিসোকর ১০) অথবা প্রয়োজনে ২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত প্রয়োগ করা যেতে পারে ।

বৃক্ক ও যকৃতের অকার্যকারিতা আছে এমন রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহার: যাদের যকৃত ও বৃক্কের = (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স ৪০ মি.লি./মিনিট এর চেয়ে কম) অকার্যকারিতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে শুরুতে ২.৫ মি.গ্রা. দিয়ে শুরু করা উচিত এবং সতর্কতার সাথে মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। ডায়ালাইসিস এর ক্ষেত্রে এই ওষুধের পরিবর্তনের দরকার নেই, কারণ বিসোপ্রলল ডায়লাইজিবল নয়।

বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: বয়স্কদের ক্ষেত্রে মাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, যদি না বৃক্ক অথবা যকৃতের কোন অকার্যকারিতা থাকে । শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের পর্যাপ্ত তথ্য নেই।

 

google news
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সতর্কতা ও যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না:

বৃক্ক ও যকৃতের অকার্যকারিতার ক্ষেত্রে: যাদের বৃক্ক অথবা যকৃতের অকার্যকারিতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। এনাফাইলেকটিক শক : যাদের এনফাইলেকটিক শক এর ইতিহাস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিটা ব্লকার ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

এ ধরণের রোগীদের ক্ষেত্রে এপিনেফ্রিন এর ব্যবহারে প্রত্যাশিত ফল নাও আসতে পারে। বিসোগুলল কার্ডিওজেনিক শক্, ওভার্ট কার্ডিয়াক ফেইলিউর, ২য় ও ৩য় ডিগ্রীর এ-ভি ব্লক ও সাইনাস ব্র্যাডিকার্ডিয়ার রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:

কান্তি, ঘুমঘুম ভাব, মাথা ব্যথা, অস্ত্রের গোলযোগ যথা: বমি, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা, হাত ও পা অবশ হয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, হার্ট ফেইলিউর এর অবনতি, ঘুমে ব্যাঘাত, হতাশা, অ্যাজমা অথবা ক্রণিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজের ক্ষেত্রে বায়ুনালী সংকোচনজনিত শ্বাসকষ্ট।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:

গর্ভাবস্থায়: বিসোগুলল শুধুমাত্র অতি প্রয়োজনীয়তা ছাড়া গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা উচিত নয়। গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের সময় অবশ্যই ইউটেরো- প্লাসেন্টাল রক্ত প্রবাহ ও ভ্রুণের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের কোন ক্ষতিকর প্রভাবের ক্ষেত্রে অন্য ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।

সদ্য ভূমিষ্ট শিশুকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। জন্মের তিন দিনের মধ্যে হাইপোগ্লাইসেমিয়া এবং ব্রাডিকার্ডিয়া দেখা দিতে পারে। স্তন্যদানকালে ইহার মাতৃদুগ্ধে নিঃসরণ এর কোন তথ্য জানা নেই । অতএব, ইহা ব্যবহারের সময় দুগ্ধদান থেকে বিরত থাকতে হবে।

 

Bisocor বিসোকর ওষুধের যাবতীয় তথ্য

 

সরবরাহ :

বিসোকর”২.৫ ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ট্যাবলেট । বিসোকর® ৫ ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ট্যাবলেট । বিসোকর ১০ ট্যাবলেট: প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ট্যাবলেট।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment