আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Carbizol কার্বিজল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Carbizol কার্বিজল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
কার্বিমাজল ৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ।
নির্দেশনা :
হাইপারথাইরয়েডিজম, থাইরোটক্সিকোসিস এবং থাইরয়েড অপারেশনের পূর্বে প্রস্তুতি হিসেবে।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
প্রথমে ২০ মি.গ্রা. থেকে ৬০ মি.গ্রা. দিনে ২-৩টি বিভাজিত মাত্রায় শুরু করতে হবে। পরবর্তীতে রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী ৫ মি.গ্রা. থেকে ১৫ মি.গ্রা. দৈনিক হিসেবে মাত্রা সমন্বয় করতে হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে ২৫০ মাইক্রোগ্রাম/কেজি প্রতিদিন বিভাজিত মাত্রায় সেব্য। চিকিৎসাকাল : ১৮-২৪ মাস ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
ত্বকের চুলকানি, র্যাশ, পিগমেন্টেশন, মাথাব্যথা, চুলপড়া ইত্যাদি।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
আয়োডিন, অ্যান্টি কোয়াগুলেন্ট ড্রাগ ।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
প্রত্যাশিত সুফল গর্ভস্থ ভ্রূনের ওপর সম্ভাব্য আশংকার চেয়ে বেশী বিবেচনায় ব্যবহার করা যেতে পারে। মাতৃদুগ্ধে এর নিঃসরণ হওয়ায় চিকিৎসকের বিবেচনায় ব্যবহার করা যেতে পারে ।
সরবরাহ :
কাৰ্বিজল ট্যাবলেট : ৬ × ১০ টি ট্যাবলেট রিস্টার প্যাকে।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
ঔষধের প্রয়োগ প্রক্রিয়া
যে উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হোক না কেন, ঔষধ সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে দেয়া হয়ে থাকে। এগুলোকে ঔষধের রুট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশান (routes of administration) বলা হয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হল:
দেহের অভ্যন্তরে
মুখে (orally)
পায়ু ও যোনিপথে সাপোজিটরি হিসেবে (rectally and vaginally as suppository)
নিঃশ্বাসের মাধ্যমে (inhalation)
জিহ্বার নিচে (sublingually)
অনান্ত্রিক পথে (parenteral routes)
আন্তঃধমনী বোলাস (intravenous bolus)
আন্তঃধমনী ইনফিউশন (intravenous infusion)
আন্তঃপেশী (intramuscular)
সাবকিউটেনিয়াস (subcutaneous)
দেহের বাইরে
ত্বকের ওপর (topically)
আরও দেখুনঃ