আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Efigrel এফিগ্রেল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Efigrel এফিগ্রেল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
প্রতিটি ফিল্ম কোটেড ট্যাবলেটে আছে ১০.৯৮ মি.গ্রা. প্ৰাসুহেল হাইড্রোক্লোরাইড আইএনএন যা ১০ মি.গ্রা. প্রাগ্রেল এর সমতুল্য।
নির্দেশনা:
একিউট করোনারী সিনড্রোম-এ আক্রান্ত রোগী যাদেরকে পারকিউটেনিয়াস করোনারী ইন্টারভেনশন (PCI) করাতে হবে, তাদের ক্ষেত্রে গ্রম্বোটিক ইভেন্টের হার (স্টেন্ট প্রম্বোসিসসহ) কমানোর জন্য এফিগ্রেল” নির্দেশিত।
যেমন: অস্থায়ী/আনস্টেবল এনজিনা অথবা bb-ST- এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (NSTEMI) -এ আক্রান্ত রোগী। এলিভেশন মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (STEMI) – এ আক্রান্ত রোগী যাদেরকে প্রাথমিকভাবে অথবা বিলম্বে PCI করানো হয়েছে।
মাত্রা ও সেবনবিধিঃ
প্রাথমিকভাবে প্রাগ্রেলের ৬০ মি.গ্রা. লোডিং মাত্রা দিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে এবং এরপর প্রতিদিন ১০ মি.গ্রা. করে সেবন করতে হবে। যেসব রোগী প্রাগ্রেল গ্রহণ করছেন তাদেরকে অবশ্যই প্রতিদিন এসপিরিন (৭৫-৩২৫ মি.গ্রা.) গ্রহণ করতে হবে। প্রাগ্রেল খাবারের সাথে অথবা খাবার ব্যতীত সেবন করা যায়।
একিউট করোনারী সিনড্রোমে আক্রান্ত রোগী যাদেরকে PCI করানো হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রাগ্রেলসহ যে কোন এন্টিপ্লাটিলেট ওষুধ যদি আকস্মিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় সেটি প্রম্বোসিস, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন অথবা মৃত্যুর হার বাড়িয়ে দিতে পারে। ক্লিনিক্যালি প্ৰাসুহেল দ্বারা চিকিৎসা বন্ধ করা না হলে ১২ মাস পর্যন্ত এর দ্বারা চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
যেসব রোগীদের ওজন ৬০ কেজির নিচে এবং যাদের বয়স ৭৫ বছরের বেশী তাদের ক্ষেত্রে ৬০ মি.গ্রা. লোডিং মাত্রার পর প্রতিদিন ৫ মি.গ্রা. করে মেইনটেনেন্স মাত্রায় খেতে হবে। মৃদু থেকে মাঝারি যকৃতের অকার্যকারিতা অথবা কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে মাত্রা পুন:নির্ধারনের প্রয়োজন নেই ।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
রক্তক্ষরণ (CABG ও Non- CABG সমন্ধীয় সার্জারীর ক্ষেত্রে), থ্রম্বোটিক গ্রম্বোসাইটোপেনিক পারপিউরা হতে পারে। এছাড়াও উচ্চরক্তচাপ, মাথা ব্যথা, কোমরে ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা, কফ, ব্রাডিকার্ডিয়া, র্যাশ, প্রান্তীয় ইডিমা ইত্যাদি হতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
ওয়ারফেরিন ও প্ৰাসুহেল একসাথে খেলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায় । NSAIDs ও প্রাগ্রেল একসাথে খেলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। প্রাগ্রেল সেইসব ওষুধের সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে যেগুলো সাইটোক্রম পি-৪৫০ এনজাইমকে বাঁধা দান করে।
এসপিরিন (৭৫-৩৫০ মি.গ্রা./সৈনিক), হেপারিন, জিপি-২বি/৩এ ইনহিবিটরস, স্ট্যাটিন, ডিজম্মিন এবং যেসব ওষুধ পাকস্থলীর pH বাড়িয়ে দেয় যেমন: প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর ও H2 ব্লকারের সাথে প্রাগ্রেল গ্রহণ করা যেতে পারে ।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
প্রেগনেন্সী ক্যাটাগরি-বি। গর্ভবর্তী মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রাসুরেল এর ব্যবহারের কোন পর্যাপ্ত তথ্য নেই। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হলেই শুধুমাত্র গর্ভাবস্থায় এটি ব্যবহার করা উচিত। প্রাগ্রেল মাতৃদুগ্ধে নিঃসৃত হয় কিনা তা জানা যায়নি।
সরবরাহ:
এফিােল” ১০: প্রতি বাক্সে আছে ২০ টি ট্যাবলেট।
আরও দেখুনঃ