আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Fungidal HC ফানজিডাল এইচসি ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Fungidal HC ফানজিডাল এইচসি ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
প্রতি গ্রাম ক্রীমে আছে মাইকোনাজোল নাইট্রেট ২০ মি.গ্রা. এবং হাইড্রোকর্টিসন ১০ মি.গ্রা.।
নির্দেশনা :
প্রদাহজনিত ত্বকের রোগে, যেখানে সংবেদনশীল জীবাণু সংক্রমণ ও প্রদাহ যুগ্মভাবে অবস্থান করে যেমন: ইন্টারটিগো এবং সংক্রমিত একজিমা-এর বাহ্যিক চিকিৎসায় ব্যবহার্য।
শুস্ক বা আর্দ্র একজিমার জন্য বা এটপিক একজিমা বা প্রাথমিক চুলকানি বা কন্টাক্ট এলার্জিক একজিমা বা সেবরিক একজিমাসহ ব্রন জাতীয় চর্মরোগে ব্যবহার্য । ইনফ্লেমেটরী ইন্টারট্রিগো, পেরিএনাল ও জেনিটাল চর্মরোগ জাতীয় ইন্টারট্রিজিনাস একজিমাতে ব্যবহার্য।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
আক্রান্ত স্থানে দিনে ২ বা ৩ বার লাগাতে হবে।

সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
এর যে কোন উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করা উচিত নয়। শরীরের ব্যাপক স্থান জুড়ে ব্যবহার করার সময়, শিশুদের ন্যাপকিন জাতীয় এবং ছিদ্রহীন প্লাষ্টিকের ব্যানডেজ ব্যবহার করার সময় এটা সাবধানে ব্যবহার করা উচিত ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
স্থানীয়ভাবে সংবেদনশীলতার ঘটনা বিরল। কর্টিকোস্টেরয়েড প্রয়োগ করলে পর্যাপ্ত পরিমাণে শোষিত হয়ে সিসটেমিক কার্যকারিতা দিতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
এর কার্যক্রমে এমফোটেরিসিন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় বাহ্যিকভাবে ব্যাপকমাত্রায় ব্যবহার করা উচিত নয় ।
সরবরাহ :
ফানজিডাল এইচ সি : ১০ গ্রাম।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
আরও দেখুনঃ