আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Garlin গার্লিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Garlin গার্লিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
গার্লিন “লিক্যাপ: প্রতিটি এন্টেরিক কোটেড লিকুইড ফিল্ড হার্ড জিলাটিন ক্যাপসুলে আছে ১০ মি.গ্রা. রসুনের তেল (স্ট্যান্ডার্ডাইজ্ড)। বর্ণনা টাটকা রসুন, রসুনের শুকনো কোষ এবং রসুনের তেল ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
রসুনে অ্যালিন এবং এর রূপান্তরিত উপাদানসহ সালফার যুক্ত তেল থাকে । রসুনের তেল টাটকা কিংবা শুকনো রসুন থেকে পাওয়া যায় না বরং স্টীম ডিস্টিলেশনের মাধ্যমে পানিতে দ্রবনীয় থায়োসালফিনেসকে তেলে দ্রবনীয় সালফাইডে রূপান্তরের মাধ্যমে এই তেল পাওয়া যায় । রসুনের উৎপত্তি এশিয়ার মধ্যভাগ থেকে দক্ষিন ভাগের মধ্যে।
সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসে যখন রসুনের পাতা এবং কোয়া শুকিয়ে আসে তখন এটি সংগ্রহ করা হয়। নানারকম হৃদরোগ এড়াতে রসুন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিম ইউরোপের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পথ্য । রসুনের প্রিপারেশন বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে একটি অন্যতম বহুল বিক্রিত ভেষজ।
ফার্মাকোলজি :
গার্লিক কোলেস্টেরলের সেৱাম ট্রাইগ্লিসারাইড (টি জি) কমায় এবং হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এইচ ডি এল) বাড়ায়। এটি অনুচক্রিকার জমাট বাঁধা এবং প্রস্বাস গঠন রোধ করে এবং ফিব্রিনোলাইসিস বাড়িয়ে রক্তের ক্লটিং টাইমকে দীর্ঘায়িত করে। এটি স্বল্প ঘনত্বের লিপোপ্রোটিনকে (এল ডি এল) জারিত হতে দেয় না এবং দেহের অতিরিক্ত রক্তচাপ কমায়। রক্তচাপ সংক্রান্ত এওর্টিক স্টিসে রোধ করে রক্তে গ্লুকোজের লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে ।
কিভাবে কাজ করে
• স্টেরয়েড স্যাপোনিন, ইন্টেস্টাইনাল লুমেনে কোলেস্টেরল এবং এল ডি এল কোলেস্টেরল এর পরিশোধনে পরিবর্তন করে এবং এর ফলে এইচ ডি এল এর উপর কোন বিরুপ প্রতিক্রিয়া ছাড়াই প্লাজমা, কোলেস্টেরল লেভেল হ্রাস পায়।
• ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ লিপিড, বিশেষ করে ট্রইগি-সারাইডের ক্যাটাবলিজমকে বৃদ্ধি করে।
• পালমিটেট জ্বনিত কোলেস্টেরল এর বায়োসিনথে সিস এ বাঁধা প্রদানকে ত্বরান্বিত করে।
•বিটা-হাইড্রক্সি-বিটা মিথাইলগুটারাইল কোএনজাইম রিডাকটেস এনজাইমকে বাঁধা প্রদান করে কোলেস্টেরলের বায়োসিনথেসিস কমায় ।
• রসুনের তেলে উপস্থিত গামা-গ্লুটামিলসিসটেইন্স এর এনজিওটেনসিন কনভারটিং এনজাইমকে বাঁধা প্রদানের কারণে এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গার্লিক এন্ডোথেলিয়াম থেকে প্রাপ্ত শিথিলীকরণ এবং সংকোচন উভয় ফ্যাক্টরসমূহের উৎপাদন এবং কার্যপ্রনালীকে নিয়ন্ত্রণ করে হাইপক্সিক পালমোনারি ভ্যাসোকনস্ট্রিকশন এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা রাখে ।
• গার্লিক বা রসুন পালমোনারি আর্টারিতে নাইট্রিক অক্সাইড সিনথেসকে সক্রিয় করে নাইট্রিক অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং নাইট্রিক অক্সাইড শিখি লীকরণ ঘটায় ।
• গার্লিকে উপস্থিত ফ্রক্ট্যানসমূহ বিচ্ছিন্ন কোষের এডেনোসিন ডিঅ্যামাইনেস এর নিঃসরণ বন্ধ করতে পারে। এভাবে গার্লিক এডেনোসিন বৃদ্ধি করে এবং এর সাথে সংযুক্ত রক্তনালীর প্রসারণে সাহায্য করে।
ব্যবহার:
হাইপারলিপিডেমিয়া, অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস, হাইপারটেনশান ।
মাত্রা ও ব্যবহারবিধি:
১-২টি করে ক্যাপসুল ৮ – ১৮ সপ্তাহ কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
কোন কোন ক্ষেত্রে সামান্য পেটের সমস্যা এবং ক্ষেত্র বিশেষে এলার্জিক রিঅ্যাকশন দেখা যায়।
নিষেধাজ্ঞা:
জার্মান কমিশন ই এর মতে, কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায় না। “ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন” এর মতে রসুনে যাদের অ্যালার্জি আছে এবং যারা ওয়ারফারিন ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
গর্ভকালীন এবং স্তন্যদানকালীন ব্যবহার:
রসুনে অবস্থিত সালফার বুকের দুধে মিশ্রিত হয়ে এটিকে শিশুর জন্য আরও উপাদেয় করে তোলে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
রসুন, অ্যান্টি পাটিলেট এবং অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট একসাথে ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ধরে রক্তপাতের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ওয়ারফারিন এবং গার্লিক সাপ্লিমেন্ট একসাথে ব্যবহার করলে রোগীর রক্ত জমাট বাঁধার সময় দ্বিগুন হতে দেখা যায়।
সরবরাহ:
গার্লিন” লিক্যাপ : প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি এন্টেরিক কোটেড ক্যাপসুল ব্লিস্টার প্যাকে।
আরও দেখুনঃ