আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Geston জেস্টন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Geston জেস্টন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
এ্যালাইলস্ট্রেনল আই এন এন ৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট।
নির্দেশনা:
•ইন্ট্রাইউটেরাইন গ্রোথ রিটারডেশন
•গর্ভপাতের আশংকা
• স্বেচ্ছা গর্ভপাতের ইতিহাস থাকলে
• অকালীন প্রসবের আশংকা
মাত্রা ও ব্যবহারবিধি:
ইন্ট্রাইউটেরাইন গ্রোথ রিটারডেশন: দৈনিক ৩টি করে ট্যাবলেট ২ মাস। লক্ষণসমূহের উন্নতি হলে মাত্রা কমানো যেতে পারে। গর্ভপাতের আশংকা: লক্ষণসমূহ মিলিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত দৈনিক ৩টি ট্যাবলেট। স্বোচ্ছা গর্ভপাতের ইতিহাস থাকলে গর্ভধারণ নিশ্চিত হওয়া মাত্র দৈনিক ১-২টি ট্যাবলেট।
আশংকাজনক সময় পার হওয়ার ১ মাস পর পর্যন্ত ওষুধ খেয়ে যাওয়া উচিত। অকালীন প্রসবের আশংকা: ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত। সাধারণত উচ্চমাত্রা (সর্বোচ্চ দৈনিক ৪০ মি.গ্রা. পর্যন্ত) ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

প্রতিনির্দেশনা:
অতিসংবেদনশীলতা, “থ্রম্বোফেরাইটিস”, অজানা কারণে যোনী হতে রক্তরণ, অসম্পূর্ণ গর্ভপাত, হরমোনজনিত কার্সিনোমা, সেরিব্রাল এপোপেক্সি, গর্ভ নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবং যকৃতের তীব্র সমস্যা থাকলে এ ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার
এ্যালাইলস্ট্রেনল গর্ভকালীন সময়ে খাওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে নির্দেশিত। প্রসব পরবর্তী সময়ে এ ওষুধ পরিহার করা উচিত কারণ এটা মাতৃদুগ্ধের সাথে নিঃসৃত হয়ে নবজাতকের সামান্য হলেও ক্ষতি করতে পারে । শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার: ১৬ বছরের নিচে মেয়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
দীর্ঘ সময় ধরে এ্যালাইলস্ট্রেনল দিয়ে চিকিৎসা করলে পরিপাকতন্ত্রের কিছু সাধারণ সমস্যা হতে পারে। যেমন- বমি অথবা বমি বমিভাব এবং এপিগ্যাস্ট্রিক অস্বস্তি ।
সতর্কতা:
কোন রোগীর নিম্নলিখিত সমস্যা থাকলে এ ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত: হৃদরোগ, “কনজেটিভ হার্ট ফেইলিউর”, “সিক সাইনাস সিন্ড্রোম”, করোনারী আর্টারীতে কোন সমস্যা, মৃগীরোগ বা মৃগীরোগজনিত কাঁপুনি, মূত্রতন্ত্রের অকার্যকারিতা, মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথা, শ্বাসতন্ত্রের কোন রোগ যেমন-অ্যাজমা, এফাইসেমা, ক্রমিক ব্রংকাইটিস অথবা সিওপিডি এবং দুগ্ধদানকালে ।
সরবরাহ:
জেস্টন” ট্যাবলেট: প্রতি বাক্সে আছে ৩০টি ট্যাবলেট।
আরও দেখুনঃ