আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Kamomil ক্যামোমিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Kamomil ক্যামোমিল ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
ক্যামোমিল* ওরাল স্প্রে প্রতি মি.লি.-তে আছে ৩৭০.৫০ মি.গ্রা. ক্যামোমাইল (মেটরিকারিয়া রিকুটিটা) এর নির্যাস (স্ট্যাণ্ডার্ডাইজ্ড), পিপারমিন্ট অয়েল ১৮.৫ মি.গ্রা., সেইজ অয়েল ৬ মি.গ্রা., এনি অয়েল ৭ মি.গ্রা., পাইন নিল অয়েল ১ মি.গ্রা., বার্গামট অয়েল ০.৫ মি.গ্রা., ইউক্যালিপটল ৫ মি.গ্রা. এবং মিথাইল স্যালিসাইলেট ১ মি.গ্রা.।
বিবরণ:
জার্মান ক্যামোমাইল; ক্যামোমাইলের সক্রিয় রাসায়নিক উপাদান মূলত উদ্বায়ী তেল যার মধ্যে বিসাবলল, বিসাবলল অক্সাইড এ এবং বি, ক্যামাজোলিন অন্যতম। ক্যামোমাইলের সক্রিয় উপাদান প্রদাহরোধী, সংকোচনরোধী এবং নরম মাংসপেশী আরামদায়ক কার্যকারিতা সম্পন্ন। ক্যামাজোলিনের সক্রিয় প্রদাহরোধী গুন রয়েছে।
এটি সাইক্লোক্সিজেনেজ এনজাইমকে ব্লক করে প্রোটাগাজিন নিঃসরণে বাধা দেয় । পিপারমিন্ট অয়েল: এটি ইউনাইটেড স্টেটস ফার্মাকোপিয়া অন্তর্ভুক্ত। পিপারমিন্ট অয়েল সংকোচক, জীবাণু নাশক এবং প্রদাহ রোধক ক্ষমতা প্রদর্শণ করে।
এতে যে এসেনশিয়াল অয়েল বিদ্যমান তা একটি শক্তিশালী জীবাণু নাশক এবং এটি মুখের দুর্গন্ধ ও সোর থ্রোট চিকিৎসায় কার্যকর। এটি দন্তক্ষয় এবং মাড়ি রোগ প্রতিরোধেও বেশ উপকারী। এটি মুখ এবং মুখগহ্বরের ক্ষরণ উপশমে সহায়ক। এর সংকোচক ক্ষমতা মাড়ির স্ফীত টিস্যুগুলোকে সংকুচিত করে মাড়িফোলা রোগের বেদনা নিবারণ করে।
সেইজ অয়েল : এটি ইউনাইটেড স্টেটস ফার্মাকোপিয়ার অন্তর্ভুক্ত।এর নির্যাস পলার প্রদাহ ও মুখের ক্ষতে গার্গল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গলা, টনসিল ও মুখের ক্ষত চিকিৎসায়ও এটি কাজ করে। এটির সংকোচনশীল শুন মাড়ি থেকে রক্ত পড়া কমায় এবং লালা নিঃসরণ বাড়ায়।
এনিজ অয়েল: এটি দাঁতের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। পাইন নিল অয়েল: পাইন নিল অয়েলের ব্যাকটেরিয়া বিনাশী ও প্রদাহরোধী ক্ষমতা নাক, কান, গলা বা দেহের নানা অঙ্গের ইনফেক্শন দূর করে। বার্গামট অয়েল: বার্গামট অয়েল সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বার্গামট এসেনশিয়াল অয়েলের কিছু উপাদানের প্রাকৃতিকভাবে এন্টিবায়োটিক ও সংক্রামক রোগজীবানুনাশক ক্ষমতা রয়েছে।
ইউক্যালিপটল: এটি সাইটোকাইনকে প্রতিহত করে শ্বাসতন্ত্রের অতিরিক্ত মিউকাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রন করে এবং শ্বাসকষ্ট কমায়। এটি ফ্লেভারিং এজেন্ট হিসাবে ওষুধে এবং সুগন্ধি হিসেবে অন্যান্য দ্রব্যে অল্প পরিমানে ব্যবহৃত হয়। মিথাইল স্যালিসাইলেট: বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদে প্রাকৃতিকভাবে মিথাইল স্যালিসাইলেট (উইন্টারগ্রীন অয়েল) থাকে। উইন্টারগ্রীন অয়েল মাথাব্যথা, জ্ব সোর থ্রোট এবং অস্বস্থিকর বেদনা নিরাময় করে।

নির্দেশনা:
* মুখ ও গলার প্রদাহ * পেরিওডনটাইটিস * মাড়ির প্রদাহ * দাঁত উত্তোলন পরবর্তী বেদনায় * মিউকোসাল ইরিটেশন * টনসিলের ব্যথা ক্যাঙ্কার সোরস * মুখে দুর্গ
প্রতিনির্দেশনা:
অ্যাসটেরাসি গোত্রের সদস্যদের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্যামোমিল ওরাল স্প্রে ব্যবহার করা উচিত নয় ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
এদিখলের প্রতি অতি সংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে অসহিষ্ণু প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। পূর্ব সতর্কতা সরাসারি নাকে স্প্রে করা যাবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয় ।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালীন সময়ে ব্যবহার:
গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে ক্যামোমিল ওরাল স্প্রে অতিমাত্রায় ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
অ্যাসপিরিন, ওয়ারফারিন অথবা যে কোন এন্টিকোঅ্যাগুল্যান্ট এর সাথে ব্যবহার করা উচিত নয়।
মাত্রা এবং ব্যবহার বিধিঃ
প্রাপ্তবয়স্ক: মুখ ও গলার ভিতরে আক্রান্ত স্থানে দিনে ৩ বার স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। প্রতিবার ২ পাফ স্প্রে করতে হবে। ক্যামোমিল” ওরাল স্প্রে খাবার পর ব্যবহার করা শিশু: ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেরে ক্যামোমিল” ওরাল স্প্রে ব্যবহার উচিত নয়।
সরবরাহ:
ক্যামোমিল° স্প্রে: প্রতি বাক্সে আছে একটি করে ক্যামোমিল” ওরাল স্প্রে কাচের বোতলে। ব্যবহারের নির্দেশাবলী প্রথমবার ব্যবহারের পূর্বে অথবা কয়েক সপ্তাহ স্প্রে টি ব্যবহার না করে থাকলে ১ থেকে ২ বার বাতাসে স্প্রে করুন এবং তারপর ব্যবহার করুন।
১. ব্যবহারের পূর্বে উপরের ক্যাপটি খুলুন।
২. কনটেইনারের শীর্ষে অবস্থিত সাদা বাটনটিতে আঙ্গুল রেখে এটি ঊর্ধ্বমুখী করে ধরুন।
৩. মুখ খুলুন এবং বোতলের শীর্ষটি যথা সম্ভব মুখের কাছে এনে আক্রান্ত স্থানে তাক করুন।
৪. এবার আস্তে করে বোতলের শীর্ষে অবস্থিত বাটনটিতে চাপ দিয়ে আক্রান্ত স্থানে ওষুধ স্প্রে করুন।
৫. বাটনটি ছেড়ে দিন এবং মুখ বন্ধ করুন। শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে ওষুধ গ্রহণ করবেন না। ওষুধ গ্রহণের পর ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত মুখ ধুবেন না।
৬. পুনরায় ওষুধ প্রয়োজন হলে উপরের ৩, ৪ ও ৫ নং প্রক্রিয়াগুলো আবার করুন।
৭. ক্যাপটি যথাস্থানে আটকিয়ে রাখুন।
আরও দেখুনঃ