আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Mirakof মিরাকফ ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Mirakof মিরাকফ ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
বিউটামিরেট সাইট্রেট আইএনএন ৫০ মি.গ্রা.সাসটেইনড্ রিলিজ ট্যাবলেট।
নির্দেশনা:
মিরাকক্ষ” (বিউটামিরেট সাইট্রেট) শুষ্ক কফ (নন-প্রোডাক্টিভ) থেকে মুক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়। সাম্প্রতিক কোন ভাইরাল ইনফেকশনের জন্য শুদ্ধ কফ হতে পারে। শল্য চিকিৎসার আগে ও পরে কফ নিরোধে এবং ব্রোংকোস্কোপিতেও মিরাকফ নির্দেশিত
মাত্রা ও সেবন বিধি:
মিরাক” ট্যাবলেট: ১২ বছরের বেশী বয়স্কদের জন্য। প্রতিদিন ১-২টি ট্যাবলেট। বয়স্কদের জন্যঃ ২-৩ টি ট্যাবলেট ৮-১২ ঘন্টার ব্যবধানে।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
বিউটামিরেট সাইট্রেট গর্ভাবস্থায় প্রথম তিনমাস ব্যবহার করা যাবে না। গর্ভকালীন বাকি সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেহেতু বুকের দুধে কার্যকরী উপাদানের নিঃসণের উপর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি ।
সেহেতু ওষুধ ব্যবহারে প্রত্যাশিত সুবিধা সম্ভাব্য ঝুঁকি হতে অধিকতর বিবেচিত হলে স্তন্যদানকালে ব্যবহার করা যেতে পারে ।

প্রতিনির্দেশনা:
কার্যকরী উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা থাকলে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
বিউটামিরেট সাইট্রেট খুবই সহনীয়। কখনও কখনও ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাব, ঝাপসাভাব এর রিপোর্ট পাওয়া গেছে। মাত্রা কমালে বা ওষুধ সেবন বন্ধ করলে এ সকল প্রতিক্রিয়া দূরীভূত হয়।
সরবরাহ:
মিরাকফ’ ট্যাবলেট : প্রতিটি বাক্সে আছে ৩০ টি ট্যাবলেট।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ