আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Nidipine নিডিপিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Nidipine নিডিপিন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
নিফেডিপিন ২০ মি.গ্রা. এসআর ট্যাবলেট। নির্দেশনা সকল ধরনের উচ্চ রক্তচাপ রোধে নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
নিডিপিন” ট্যাবলেট ১০-২০ মি.গ্রা. দিনে ৩ বার। নিডিপিন” এস আর ট্যাবলেট ২০ মি.গ্রা. দিনে দুইবার আহারের সময় অথবা আহারের পর।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
কার্ডিওজেনিক শক, এ্যাডভান্সড্ এ্যাওর্টিক স্টেনোসিস, স্তন্যদানকারী মা, অস্ত্রে প্রতিবন্ধকতাতে ব্যবহার করা যাবে না। ট্যাবলেট সম্পূর্ণ গিলে খেতে হবে, চিবানো, ভাঙ্গা বা চোষা যাবে না। রোগীর কার্ডিয়াক রিজার্ভ খুব কম হলে ব্যবহারের পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
মাথা ধরা, নাক মুখ লাল হয়ে যাওয়া, আলস্য, ইডিমা, ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাব, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, চোখে ব্যথা, মাঁড়ির হাইপারপাসিয়া, বিষণ্ণতা, শিহরণ, আলোর প্রতি অতিসংবেদনশীলতা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে জন্ডিস হতে দেখা গেছে।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
এসিই ইনহিবিটর, এরিদমিয়ারোধী, ব্যাকটেরিয়ানাশক, খিঁচুনিরোধক কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রীয় ওষুধ, সাইক্লোস্পোরিন, পেশী শিথিলকারক, আলসার প্রতিরোধী ওষুধ।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
ব্যবহারের গুরুত্ব এবং ভ্রণীয় ক্ষতির আশংকার কথা বিবেচনা করে গর্ভাবস্থায় এটা ব্যবহার করা উচিত।
সরবরাহ :
নিডিপিন এস আর ট্যাবলেট ১০ x ১০ টি।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ