আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Nocon নোকন ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Nocon নোকন ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
অক্সিমেটাজোলিন ০.০৫% এবং ০.০২৫% ন্যাসাল ড্রপস্ ।
নির্দেশনা :
একিউট ও ক্রনিক রাইনাইটিস, সাধারণ ঠান্ডা এবং সাইনাসের প্রদাহ।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি :
প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬ বছর বয়সী শিশু: ২-৩ ফোঁটা ০.০৫% নোকন্ দিনে ২ বার প্রতি নাসারন্ধ্রে। ২-৫ বছর বয়সী শিশু: ২-৩ ফোঁটা ০.০২৫% নোকন্ দিনে ২ বার প্রতি নাসারন্ধ্রে ।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
এম.এ.ও. ইনহিবিটর, ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসেন্ট এর সাথে।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
শূল ফোঁটার অনুভূতি, হাঁচি, নাকের নিঃসরণ বেড়ে যাওয়া, নাসারন্ধ্র শুকিয়ে যাওয়া এবং স্বাদের পরিবর্তন।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় শেষ তিন মাসে এর ব্যবহার নিরাপদ। স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সরবরাহ :
নোকন্” ০.০৫% ন্যাসাল ড্রপস্ : ১০ মি.লি.। নোকন্” ০.০২৫% পেডিয়াট্রিক ন্যাসাল ড্রপস্ : ১০ মি.লি.।
ঔষধের ব্যবহার
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ