আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Prolert প্রোলার্ট ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Prolert প্রোলার্ট ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান:
ফ্রক্সেটিন ২০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল।
নির্দেশনা:
বিষণ্ণতাজনিত অসুস্থতা, বুলিমিয়া নারভোসা, এনোরেক্সিয়া নারভোসা, অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার এবং প্রি-ম্যানস্ট্রয়াল সিনড্রোম।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি:
দৈনিক ২০ মি.গ্রা. (১টি ক্যাপসুল) মুখে সেব্য। প্রয়োজন বোধে দৈনিক মাত্রা ৬০ মি.গ্রা. (৩টি ক্যাপসুল) মুখে সেব্য।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এবং যেসব রোগী মনোএমাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটর গ্রহণ করছেন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
দুশ্চিন্তা, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, অনিদ্রা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা ও অবসন্নতা বা দৌর্বল্য, কাপুনী, ঘাম বের হওয়া, মাথা ঝিম ঝিম করা এবং পরিপাকস্ত্রের প্রতিক্রিয়াসমূহের মধ্যে ক্ষুধামন্দা, বমি ভাব ও ডায়রিয়া অন্যতম। অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আছে এনজিও ইডিমা, আরটিকেরিয়া বা অন্যান্য এলার্জিক প্রতিক্রিয়া ।

অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া:
মনো অ্যামাইন অক্সিডেজ ইনহিবিটর একত্রে ব্যবহার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার:
গর্ভাবস্থায় এটি ব্যবহার করা উচিত নয়। মাতৃদুগ্ধে এর নিঃসরণ সম্বন্ধে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
সরবরাহ:
প্রোলার্ট” ক্যাপসুল : ৫ x ১০ টি।
ঔষধের ক্রিয়া
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কীভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও দেখুনঃ