আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় Pronor প্রোনর ওষুধের যাবতীয় তথ্য। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন ওষুধের তথ্য আপনাদের কাছে পৌছে দিতে আমাদের এই আয়োজন।
Pronor প্রোনর ওষুধের যাবতীয় তথ্য
উপাদান :
ফিনাস্টেরাইড ৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ।
নির্দেশনা :
বিনাইন প্রোস্টেট গ্রন্থির বৃদ্ধিজনিত (বিপি এইচ) রোগের চিকিৎসা এবং নিয়ন্ত্রণে নির্দেশিত। মাত্রা ও ব্যবহার বিধি । প্রত্যহ ৫ মি.গ্রা. ট্যাবলেট (খাবারের সাথে বা ছাড়া)।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না :
অতি সংবেদনশীলতায় এবং শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যবহার নিষিদ্ধ। যে সমস্ত রোগীর তীব্রভাবে হ্রাসপ্রাপ্ত মূত্র প্রবাহ আছে তাদের ক্ষেত্রে বাধাদায়ক ইউরোপ্যাথির জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :
যৌন অক্ষমতা, হ্রাসপ্রাপ্ত যৌনতাড়না এবং হ্রাসপ্রাপ্ত বীর্য্য।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া :
অন্য ওষুধের সাথে কিনিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ কোন বিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।

গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার :
গর্ভাবস্থায় বা গর্ভধারণক্ষম মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহার্য নয় যদিও ফিনাস্টেরাইড এর মাতৃদুগ্ধে নিঃসরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সরবরাহ :
প্রোনর” ট্যাবলেট : ৩ x ১০ টি ।
ঔষধ এর সংজ্ঞাঃ
ঔষধ বা ওষুধ হলো এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রয়োগে প্রাণিদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয় এবং যা দ্বারা রোগ নাশ হয় বা প্রতিকার হয়, বা পীড়া ও ক্লেশ নিবারণ হয়; ভেষজ দাওয়াই এর অন্তর্ভুক্ত। ঔষধ মূলত দুই প্রকার: থেরাপিউটিক (রোগনিরাময়কারী) এবং প্রোফাইলেকটিক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) সংজ্ঞার্থ অনুসারে: “দ্রব্যসমূহ যা রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে (cure), উপশমে (mitigation), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) ব্যবহার করা হয়” এবং “দ্রব্যসমূহ (খাদ্য বাদে) যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক গঠন বা ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে” তাদের ঔষুধ বলা হয়।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওষুধের সংজ্ঞা এমন কঠোরভাবে আরোপ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে: “ঔষধ” শব্দটির বিভিন্ন রকম ব্যবহার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য (cure) এবং প্রতিরোধের (prevention) ক্ষমতা আছে অথবা যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আবার ফার্মাকোলজিতে ঔষধ এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণিদেহের অথবা কলার জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম। আবার সাধারণের মুখে ড্রাগ শব্দটির অর্থ অবৈধ দ্রব্য। যেমন: হেরোইন, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, ইত্যাদি।
আরও দেখুনঃ